Posts

Showing posts from August, 2007

সংসারি মানুষরা সব স্বার্থপর হয়। খুব খুব স্বার্থপর...

মঙ্গলবার সন্ধায় যখন ভাবি বলেন, তুলি চল ঢাকা থেকে ঘুরে আসি। আমি সামনে বসা। ভাবছি, আর মানুষ পায়নি... শেষ করতে পারিনি সেই ভাবনা, আমাকে অবাক করে রাজি হয়ে যায়! সে যাবে... এমনকি আমি যাব এই ঘোষনাটাও দিয়ে দেয়! প্রচণ্ড ঘরকুনো তুলির এই আচরনে বেশ মজাই পাই। জিজ্ঞেস করি, কিভাবে? ছুটি নিলেনা... আমারওতো ছুটি নিতে হবে। বেশ একটা ঝামটা খেলাম। তারটা সে সামলাবে। আমার যেহেতু ছুটি নাই তাই অফিসে এমন ব্যবস্থা করি যাতে ফোন দিয়ে কাজ সারা যায়! সন্ধায় অফিসে চলে আসি। তাদের পরিকল্পনা আর আমার জানা হয়না। মধ্যরাতের আগে আগে ঘরে ফিরে দেখি ব্যাগ গোছানো শেষ। আমাকে জানানো হল, আমার কাপড়ও ঢোকানো হয়েছে সেই ব্যাগে! কি পাগলামি বলে উড়িয়ে দিতে চাই। মান অভিমানের গন্ধ পেয়ে কথা বাড়াইনা। আর খুব ভেতরে, মনের ভেতরে একটা লোভও হয়। কতদিন ছুটি কাটাইনা। এতদিনেও ছেলেটাকে নিয়ে কোথাও বেড়ানো হলনা। বুধবার ভোরে ছেলে আমাকে ডাক দেয়, বাবা উঠ... আমরা ঢাকাত যাই... সেজ ভাইয়ায় গাড়ি আনছে... ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলি, তুমি যাও বাবা। বিকালে আসব আমি। সে বায়না ধরে, না এখন... আমি তাকে মানাতে পারিনা। আম্মা আসেন। বলেন, দাদু চল আমরা যাই। বাবা বিকালে আসবে। ছেলে আমার কি

:: এক হাতে আর তালি বাজাবনা ::

আর ভাল্লাগেনা, পেছনের বেঞ্চে বসে বসে আমি ক্লান্ত। মনোযোগহীন হয়ে থাকতে আর ভালো লাগেনা, একদম ভাল্লাগেনা, একদম... মিছিলের পেছনে আর কত হাটব? এবার আমি সামনে আসতে চাই। আর কত অন্যের তোলা সুরে গলা মেলাব? এক হাতে তালি বাজাতে বাজাতে হাত তার স্বতস্ফুর্ততা হারিয়েছে। সে এখন সঙ্গি খোঁজে। এবার আমি শীতঘুমে যাব দেখি কেউ আমার ঘুম ভাঙ্গাতে আসে কিনা

:: কাল ঘুম নেমে আসে তার দু'চোখ জুড়ে ::

১. কাল রাতেও ঘটনাটা ঘটল। আমি খেতে বসতেই অনন্যা এসে হাজির। হিস হিস করে বলে, ‘ ভাবী তোমার লজ্জা করেনা? নিজের বুঝ ঠিকই বুঝ, আর অন্যের কিছু পেলে হুলস্তুল বাঁধিয়ে দাও!’ আমি আর খেতে পারলামনা। গলায় কষ্ট দলা পাকিয়ে ব্যাথা শুরু হল। চব্বিশ ঘন্টা আগের ঘটনাটা বলতে গিয়েও রুপার গলাটা ধরে আসে। কেঁদে ফেলে। জহির বউকে শান্তনা দেয়। আহা কেঁদনাতো। ঠিক হয়ে যাবে সব। কালই আমি বকে দেব অনন্যাকে। রুপার মন অন্যদিকে ফেরাতে চেস্টা করেন। তবু সে ফুঁপাতে থাকে। বলে যায়, মা-ও কিছু বল্লেন না। যেন আমি মহা অন্যায় করেছি। তারইতো মেয়ে। কিছু যদি হয়, আমার থেকেতো তারই বেশি কষ্ট হবে। কিন্তু তার ভাব দেখে মনে হল অনন্যা যা করছে ঠিক করছে। আমি এ নিয়ে কথা বলে অন্যায় করেছি! আর এমন কি আছে যেটা আমি আগলে রাখি। কি এমন অপরাধ আছে আমার... রুপার হয়ত আরও কিছু বলার ছিল। পিয়ারি সেটা হতে দিলনা। রাত একটায় তার একবার খাবারের দরকার হয়। বুকের দুধ পায়না বলে সময় ভাগ করে ফিডার দিতে হয়। রুপা ব্যস্ত হয়ে পড়ে পিয়ারিকে নিয়ে। জহির হাপ ছেড়ে বাঁচে। মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলে রুপা অন্যভূবনে চলে যায়। জহির মুগ্ধ চোখে রুপার সন্তান সেবা দেখতে থাকে। তার চোখ বুজে আস

:: নাতাশার নানীর গাড়ীতে ::

আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন হবে! নাতাশার নানীর গাড়ীতে বসে বসে তুমি এইসব উকিল মুহরির দৌড় দেখেই আগামী দিন কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নাও... আহমেদ নূর বেটা চাঁদাবাজ বটে! তার আছে আরও অনেক জারিজুরি তুমি তার কত পাশ টানবে? তোমার আর কতটুকুনই আছে ক্ষেমতা? নাতাশার নানী এই গাড়ী কিনেছিল বলে, তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দরকার বলেই আজ এই কাচারির উঠানে তুমি আরামে বসে আছ আর গেজাতে গেজাতে গিলছ আমের আচার, গোপালের পান। বিকেলের নীল প্রিজনভ্যানে দাগী অপরাধীর ভিড়ে ভাঙ্গা পা টানতে টানতে মৌলির বাবা যখন মিশে যান, তার আগে পত্রিকায় মোড়ানো মিহিদানা মিস্টি হাতে পেয়ে লোকটার চোখ কেমন জ্বলজ্বল করে উঠে... আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন হবে... এইসব উকিল মুহরির দৌড় দেখেই আগামী দিন কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নাও...

:: বৃষ্টির গান ::

এপাশে বৃষ্টি ওপাশে বৃষ্টি জারুল বৃক্ষের শিয়রে সংসার তুমি যোগীনী... ধ্যানে মগ্ন... আদম কী ইভ'কে এভাবে কখনো জড়িয়ে ধরেছিল বৃষ্টির শিয়রে... আলবাব... যোগীনীর নিঃশ্বাস... ইভের ঠোঁট এতটা কোমল ছিলনা নিশ্চিত।

:: সে রাতে পূর্ণিমার সাথে আমি তোমাকেও দেখেছি ::

১. তখনও বুঝিনি আকাশে অতটা উজ্জলতা ছিল। হঠাত করেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মুমু বল্ল সে ছাদে যাবে। বন্ধ ঘরে তার ভাল লাগছেনা। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তাই বেরিয়ে আসি। মোমের আলোয় যতটা দেখা যায় ততটা দেখে সিড়ি বাইতে থাকি। একহাতে মোম অন্য হাতে ধরে রাখি মুমুকে। সিড়িটা বেশ খাড়া। অন্যবাড়ির দেড় সিড়ি সমান এর একেকটা সিড়ি! মুমুকে বলি, কষ্ট হচ্ছে উঠতে। ম্লান হাসি হেসে বলে, তুমি জিজ্ঞেস করতেই উধাও হয়ে গেল! আমি দাঁড়িয়ে যাই। ওর চোখে চোখ রাখার চেস্টা করি। মোমের আলোয় কেমন এক মায়ার খেলা দেখতে পাই। বিষন্নতার মাঝে খেলা করে যেন অন্যরকম এক আলোর ছটা। সিড়ি ঘরের দরজাটা খুলতেই আমি চমকে উঠি। বিস্ময়ে উল্লাস করে উঠে মুমু। কতদিন পর মুমু এমন বিস্মিত হয়! আশ্চর্য রুপালী আলোর কেমন এক ঘোর লাগা সময়ে আমরা প্রবেশ করি। মুমু মাদক জড়ানো কন্ঠে বলে, আজ কী পূর্ণিমা! আমি বলতে পারিনা। কতদিন হল পূর্ণিমার খোজ নিতে পারিনা। ছাদে ছড়িয়ে আছে ছোটবড় বেশকটা ফুলের টব। বাগান বাগান একটা ভাব আনার চেস্টা করা হয়েছে। তিনতলার মিতা ভাবীর কাজ। সিমেন্ট দিয়ে দুটি বেঞ্চও বানানো হয়েছে। তারই একটাতে বসি। আসলে আমি বসি। মুমু দাড়িয়ে থাকে বেশ কিছুন।

:: আমাদের ক, খ, গ, ঘ, এবং ঙ ::

ক. বাড়ির সামনেই কবরটা। সাদা মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা। আগে ছিল লাল রংএর ইটের দেয়াল। তিন বছর আগে দাদা যখন সার্টিফিকেটধারী রাজমিস্ত্রি হল তখন মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে দিল। এতে নাকি তার মেধার উন্নতি হবে। আগামিতে সে হবে ফাঁটাফাঁটি ইঞ্জিনিয়র। এমনই আমাদের বিশ্বাস। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। যতকিছু আছে আমাদের ভালো সবই তার দোয়ায়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বিপদ আপদ সবই হয় যখন তিনি রেগে যান। খ. আমাদের মূলত নির্ভেজাল জিবনযাপন। আমদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা পড়ালেখায় ভাল। পাশ করার আগেই তারা কাজ পেয়ে যায়। ভালো ভালো সব চাকরি। ভালো সব ব্যবসা। সবই আছে আমাদের। গ. রোজ স্কুল, কলেজ অথবা অফিস যাওয়ার পথে আমরা শান বাঁধানো কবরটার সামনে দাড়াই। নতজানু হই। আমরা নিজেদের জন্য সুভসময় নিশ্চিত করে সেই কবরের সামনে থেকে যার যার গন্তব্যে রওয়ানা দেই। বাবা বলেছেন, মা-ও বলেছেন কবরের সামনে নতজানু হই বলেই আমরা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারি। ঘ. শাহানা একবার স্কুলে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছিল। কিভাবে তা জানিনা। তবে মা বলেছিলেন, সেদিন নাকি ওর কবরের কাছে যাওয়া নিষেধ ছিল। তবুও গিয়েছে তাই এই শাস্তি। এভাবে প্রতি মাসে নিয়মিত শাহানার উপর কবরে যাওয়ার

:: আমার কোনদিন দুধ চা খাওয়া হবেনা ::

বেশি সময় কারও লাগেনা। বুঝে ফেলে। আমার দৌড়টা তাদের জানা হয়ে যায়। এর জন্য আমি নিজেই আসলে দায়ী। ভাব ধরাটা শিখতে পারলামনা। তাই খুব সহজেই সবাই বুঝে ফেলে আমি মূলত অন্তজ শ্রেনীর মানুষ। আমি নাকি ঠিক মানানসই নই এই সময়ের জন্য। পরিচিতরা সবাই বলে। এমনকি মাও বলেন, তুই বুঝিসনা দিনদুনিয়া কোন তালে চলে এখন! আমি কোন উত্তর দিতে পারিনা। মাথা চুলকাই। কাদির মিয়া আমাকে কেন যেন খুব পছন্দ করে। জেলখাটা দাগী আসামী। নামের শেষের মিয়াটা উধাও হয়ে সেখানে ডাকাত শব্দটা ঠেসে ছিল অনেকদিন। কি করে যেন সে আমাদের অফিসে এসে জুটে গেল আর আজব কোন এক কারনে আমার সাথে তার খাতির হয়ে গেল। কাচের মগে লাল চা দিতে দিতে বলত, স্যার আপনার জীবনে কোনদিন দুধ চা খাওয়া হবেনা। আমি অবাক হয়ে বলতাম, মানে? সে বলত, এইত রোজ রোজ লাল চা খাবেন। দুধ কেনার টাকা হবেনা! আমি ঠাঠা মারা হাসি দিয়ে তাকে লাল চার গুনাগুন বুঝাতে চাইলে সে শুধু মিট মিট করে হাসত। সব কথা শেষ হলে মাথা নাড়তে নাড়তে সামনে থেকে বিদায় হত। মাথা নাড়াড় ভঙ্গিটায় স্পস্ট বুঝা যেত তার মনের কথা... আপনেরে দিয়া কিছুই হবেনা টাইপ মাথা নাড়ানো। অফিসে ওই কাদির মিয়া ছাড়া আর কেউ আমারে পাত্তা দেয়না। এমনকি যার

:: মৌলীর বাবার চোখ ::

Image
গাদাগাদি ভিড়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। আমার ঠিক পাশেই দাঁড়ান জননী এক। পিঞ্জরায় বন্দি পাখি তার চোখ ভরা জলে তাকায় শীর্ন জননীর মুখে। বড়ই আকুলি তার যদি ছুঁয়া যেত জননীর হাত, যদি সেই হাত একবার আদরে আদরে তারে মায়ায় ভরিয়ে দিত... মানুষের মুখ গুলো বড় অসহায় আর আমিও যেহেতু মানুষ তাই শুনি তেলের লিটার আশি টাকা... চাল কেনাও বড় কষ্ট... তুই কেমন আছিস বাপ... আব্বা রোজ রাতে কারা যেন ঘরের চালে ঢিল ছুঁড়ে... এক দাগী আসামীর সাথে দুর্বল শরিরে ধাক্কাধাক্কি করে আমার সামনে এসে দাড়ান আরেক ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজ! মৌলী ফোনে বাবাকে খোজ করে কীনা জানতে চান...

:: দুধ ভাত খেয়ে রোজ রাতে চাঁদ দেখি ::

সর্বত্রই নাকি ইদানিং বহে শান্তির সুবাতাস, ইদানিং নাকি হররোজ পূর্নিমা ভর করে আমাদের আকাশে আর আমরা নাকি প্রতিদিন করি কুর্নিশ মহামান্যকে, বলি বড় ভাল কাটে আমাদের দিবারাত তোমারই রাহে হে মহান। আমরা কেউ কেউ স্বপ্নবাজ হয়েছি, জেগে জেগেই দেখি দুধভাতে ভরে গেছে আমাদের থালা আর আমরা চিমটিও কাটিনা নিজের শরিরে সত্য যাচাই করতে হয়না। বেহেস্তি পোষাকের রঙ নাকি সবুজ আর দোজখের কালো! কবে কোন মোল্লা শিখিয়েছে এমন বচন! মোল্লারাও আর এখন তমদ্দুনের গান গায়না। সকল রঙের পোষাকেই নাকি শান্তি আছে, আছে বেহেস্তের ছটা অচিরেই জারি হবে এমন ফতোয়া।

:: আমার এখন আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করে ::

তোমার মত আমারও এখন যখন তখন ভালবাসতে ইচ্ছে করে যখন তখন হাত বাড়িয়ে আকাশ থেকে মেঘের ভেলা সরিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। এই আমার আর আগের মত মিছিল নিয়ে সামনে যেতে মন টানেনা। মানুষ ডাকার কাজগুলোতো আগের মত জোর পাইনা। কে মরলো কে বাঁচলো কার জন্যে কার কপাল পুড়লো এসব নিয়ে ভাবতে আমার মোটেই ভালো লাগেনা মানুষ আমি গড়পড়তা, এমন ভাবনায় সময়দিতে একটুও আর ভাল্লাগেনা তুমি আমার মাথার ভেতর ঢুকিয়ে দিলে একটা আকাশ আমি এখন এই আকাশের তারা গুনি, ফেলে আসা সময় নিয়ে আর ভাবিনা। দুনিয়া গেলে যাকনা চুলোয় আমার ভেতর জ্বলছে আগুন সে আগুনে কাউকেই আর ভাগ দেবনা।

:: বুকের উপর সাপের রাস্তা... ::

ক. ইশপের গল্প টাইপের একটা গল্প বারবার আমার মনে পড়ে। একবার এক লোকের বুকের উপর দিয়ে সাপ চলে গেল। লোকটার সেকি কান্না। কেউ একজন বলে, আরে ভাই কাদেন কেন? সাপটাতো কামড়ায়নি। সেই লোক বিষন্ন হয়ে বলে, আরে ভাই কামড়ানোটাইতো ভালো ছিল, এতো এখন রাস্তা বানিয়ে ফেল্লরে ভাই! মানুষের বুকের উপর দিয়ে সাপের রাস্তা... লোকটা আবার বিলাপ শুরু করে। খ. মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। রাত দেড়টা পৌনে দুইটা হবে। বাড়ির সামনে যেতেই বুঝে গেছে তুলি। বাড়িটা ছোট একটা টিলার উপর। সেটা উঠতে উঠতে ও বেরিয়ে এল। আমার বেগে চাবি থাকে। সেটা দিয়েই গেট খুলি। বাবাই ঘুমে। ওর ফিডার রেডি করতে করতে ভাত খাবো কিনা জিজ্ঞেস করে তুলি। বলি, খাবনা। কয়েকটা কাজ জমে গেছে। দ্রুত কম্পিউটার খুলে বসি। লো-ভলিউমে গান ছেড়ে ঠুকে ঠুকে ইলাসট্রেটর সামলাই। টুকটাক কথা হয় দু'জনে। গরম পড়েছে প্রচন্ড। জানালা খুলা। ফিডারটা পাশে রেখে মা ছেলে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। মিনিট পনের হবে। চিৎকার। চোখ মুখ কি রকম যন্ত্রনামাখা, কোলে বাবাইকে নিয়ে কাপতে থাকে। কি হয়েছে, কি করব কিছুই বুঝিনা... কিংকর্তব্য শব্দটা খুব কাছে এসে টোকা দেয় আমায়। ততক্ষনে বাবাই ফর্মে চলে এসেছে। সে ভেবেছে আমি তার মাকে গভি