Posts

Showing posts from November, 2007

কষ্ট জমাট বুকের ভেতর

২০০৪ সালের এপ্রিলে শেষ দিন। ইখতিয়ার ভাই ফোন দিলেন। তিনি সিলেটে এসেছেন। দেখা করার জন্য বল্লেন। এক ঘন্টার নোটিশ। দ্রুত গেলাম। রাজা ম্যানশনে ভোরের কাগজের অফিস। সেখানে গিয়ে দেখি সঞ্জিবদা। সাথে অন্য আরেকজন। ইখতিয়ার ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন, আমিনুল এহসান, ডেমোক্রেসিওয়াচের মানুষ। দাদা’র সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে বল্লেন, তারেত আমি চিনি, আমরার আরিফ’র ভাই নায়নি? তুমি আইলায় কোনদিনবা? আগের সপ্তাহেই মাসিক একটা পত্রিকার কাজের জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম। শ্যামলদা’র সাইবার ক্যাফেতে দেখা হয়েছে। সাথে আরিফ ভাই ছিল। দাদা মিলিয়ে নিয়েছিলেন। এর আগেও অনেকবার দেখা হয়েছে। ঢাকায়, সিলেটে। প্রথম পরিচয় প্রিয় প্রান্তিকে। স্বপনের চায়ের দোকানে। শেষ দেখাটা কবে হল এখন আর মনে পড়ছেনা। তবে বছর দেড়েক হবে এটা নিশ্চিত। তখন আমাদের সময়-এ কাজ করি। বলেছিলেন, ইন থাকি কিতা ওইব? নাইম ভাইয়ে টেকা দিতনায় জীবনে। এমনি আন্তরিক ছিলেন সঞ্জিবদা। অল্প পরিচিত এক তরুনকে নিয়েও তিনি ভাবতেন। গতবার সিলেটে একটা অনুষ্ঠানে হানিফ সংকেতকে আনার চেস্টা করেছিল আমার ভাই। সঞ্জিবদা শত ব্যাস্ততার মাঝেও সময় দিয়েছিলেন তাকে। হানিফ সংকেতের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। এস

লোকটা চাঁদকে বড় বেশি ভালবাসত...

সেটা আমার প্রথম সুনামগঞ্জ যাত্রা। বন্ধুরা মিলে গেলাম। বড়দের মাঝে ছিলেন নূর ভাই আর টুকু’দা। শহর সুনামগঞ্জে আমাদের দুঃসম্পর্কের কয়েকজন বন্ধু ছিল। যাদের কেউ কেউ এখন কাছের বন্ধু হয়ে গেছে। সেদিন আমরা বসেছিলাম সুনামগঞ্জের পৌরসভা কার্যালয়ে। নির্দিষ্ট করে বল্লে পৌর চেয়ারম্যানের কক্ষে অবাক করার মত ঘটনা হতে পারত এটা। কারণ আমার বন্ধুরা কেউ রাজনৈতিক পান্ডা ছিলনা। ওরা ছিল কবিতার কামড়ে অস্থির তরুন-তরুনি। আর সেই শহরের চেয়ারম্যান ছিলেন মমিনুল মউজদীন। কবি পুরুষ। যিনি চাঁদের রাতে নিভিয়ে দিতেন শহর সড়কের সব বাতি। তাই চেয়ারম্যানের রুমে বসে সেদিন আড্ডা দেয়াটা স্বাভাবিক ছিল।কতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন মউজদীন ভাই? তিনবার মনে হয়। হাছন রাজার প্রপৌত্র চাঁদকে যেমন ভালবাসতেন তেমনি ভালবাসতেন কবিতাকে আর অতিঅবশ্যই মানুষকে। আচ্ছা আমি এভাবে বাসতেন লিখছি কেন? হ্যা লিখছি, লিখতে হচ্ছে। কারণ মানুষটা আজ চলে গেছেন! চলে যেতে হয়েছে তাকে। স্বপরিবারে। জিবরান, মউজদীন ভাইয়ের ছেলে। কবির নামে নাম রেখেছিলেন, সেই জিবরানও চলে গেছে আর গেছেন মউজদীনের স্ত্রী। ঢাকা থেকে ফিরছিলেন। ব্্রাম্মন বাড়িয়ার কাছে সরাইলে ঘটেছে ঘটনাটা। বিপরিত থেকে আসা যাত