Posts

Showing posts from November, 2008

এই লেখাটার শিরোনাম নাই। দিতে পারি নাই

বছর দশেক হতে চল্ল... নাহ যুগ পেরিয়ে গেছে। তখন ঢাকা নামের নগরটা আরো অনেক দুরের ছিল। ট্রেনে চড়লে সিলেট পৌছাতে সময় লাগতো সাত/আট ঘন্টা। আর বাসে চড়ার জন্য যথেষ্ঠ সময় হাতে রাখতে হতো। রাতের বেলায় সাহস। নভেম্বরের ২৩ তারিখের ভোর। রাতের বাসে সেই পথ পাড়ি দিয়ে, একটা উলুম্বা পাঠা হৈ হৈ করতে করতে আমার রুমে ঢুকে একেবারে লেপের তলায় সেদিয়ে গেল। লাত্থিগুতা মেরে তাকে নামানো গেলোনা। সে তারস্বরে চেচায়... চিৎকারের ঠেলায় মা নেমে এসে চিল্লা ফাল্লা করে থামালেন। সাফ সাফ বলে দিলাম রোদের যথেষ্ট তেজ না হলে আমাকে যেন সে না ডাকে। কে শোনে কার কথা, পাঠার কাইকুই এর মাঝে কি আর ঘুমানো যায়? অনভ্যাসের সময়ে উঠে দেখা গেল ভ্যামতালাবদমাশটা বিশাল একটা ব্যাগ বয়ে এনেছে, আর তাতে ঠেসে এনেছে মানিক রচনা সমগ্র!!! তিন দশকের অধীককাল বেঁচে থেকে এর চেয়ে মূল্যবান উপহার আর পাইনি। আমার বই এর তাকে রোজ রোজ শোভা ছড়ায় প্রিয় উলুম্বা পাঠা গৌরীশের সেই ঠান্ডা অথচ আবেগী ওমে ভরা ভোরটা... নভেম্বর তেইশের মতো আরো অনেক তারিখ ছিল আমাদের। সারাদিন আমরা বন্ধুরা মিলে শহর সিলেটকে উল্টে পাল্টে গিলে খেতাম সে সময়ে। তারপরে আমাদের নিস্তরঙ্গ জীবনের শুরু হয়েছিল। সকলের

একটা হাবিজাবি রচনা

গত সপ্তাহের পুরোটা সময় কেটেছে দুধের পেছনে। ঘরে দুইটা বাচ্চা। নিজের আর ভাইয়ের। আমাদের পারিবারিক সকল কর্মকান্ড এদের নিয়ন্ত্রনেই আছে। এই উড়ে আসা সরকারে সেনাপ্রধান যতটা গুরুত্বপূর্ণ তারচেয়ে কয়েকগুন বেশি এদের পারিবারিক অবস্থান। সেই দুই ভি ভি আই পি'র খাদ্য সংকট নিয়ে আমর ব্যস্ত, আতংকিত এবং অক্ষম ক্রোধে আক্রান্ত। ১৭/১৮ বছর আগেও আমাদের বাড়িতে গরু পালা হতো। আমরা দুই ভাই আক্ষরিক অর্থেই হাতের কব্জি ডুবিয়ে দুধ খেয়েছি। কিন্তু বাবা-মায়ের সেই পশু প্রীতি কেন যেন আমরা পাইনি। তাই পাশের বাড়িতে থাকতে থাকতে আমাদের শেষ গাভীটি দু তিন মাস আগে মারা গেছে। দুধের এই দুঃসময়ে বার বার এক 'কৃষকমন' আমার ভেতরে তড়পাচ্ছিলো। আমার এই তড়পানি তুলিকে তেমন স্পর্শ করেনি। সে বার বার বলছিলো, আরে এতদিন যখন খাইছে, তাইলে আর কয়েকমাস খেলে কিছু্ই হবে না। কিন্তু সরকার বাহাদুর তাকে আটকে দিলো। বুধবারে মার্কেট থেকে দুধ উধাও। বাবাইকে যে ব্রান্ড দেয়া হয় সেটা সিলেটে যারা বাজারজাত করে তাদের একজনকে ধরলাম। সে বল্লো তাদের কাছে যা ছিল সব ফেরত দিয়ে দিয়েছে। লোকজন কিছুতেই বিশ্বাস করেনা আমি আর আগের মতো ছিদ্র খুজে বেড়াই না। সাংবাদিকতায় ইস্