Posts

Showing posts from June, 2007

:: হাবিব আলীর পতাকা পুরাণ ::

হাবিব আলীর শখটা অনেক দিনের। বুকের মধ্যে যত্নে লালন পালন করতে করতে পুষ্ট শখ কখনও পুরন হবে কিনা এই নিশ্চয়তা না থাকলেও হাবিব আলী স্বপ্ন দেখার হাল ছাড়েনি। সে স্বপ্ন দেখেই যায়। শখ পুরনের স্বপ্ন।মানুষের সকল ইচ্ছা পূর্ন হয়না। তবু মানুষ নতুন নতুন ইচ্ছা নিয়ে মেতে উঠে। অনেকেই পুরনো শখ ভুলে যায়। কিন্তু হাবিব আলী ভুলেনা। যতদিন যায় শখ বাড়তে থাকে, তাতে চেকনাই লাগে। শখের জেল্লা বাড়ে। শখ পুরনের ফন্দি ফিকির আবিস্কারে ব্যয় হয় হাবিব আলীর রোজকার কিছুটা সময়। কিন্তু সফল লভেদী বুদ্ধি আবিস্কার করা হয়ে উঠেনা।অবশেষে এল বুদ্ধি। শানদার এক বুদ্ধি। যখনই এই বুদ্ধিটা মাথায় আসল তখনই শুরু হল সমস্যা। নিজের মাথার চুল নিজেই ছেড়া শুরু করল হাবিব আলী। এই ব্যপারটা এতদিন ধরে ঘটছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আর তার মাথায় কিনা এতদিন পরে আসল! নিজেকে সে কুৎসিত ভাষায় গালি দিতে লাগল। একসময় হাবিব আলীর মাথা ঠান্ডা হল। সে তার শখ, তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করতে বসল। কিন্তু সেটা মোটেই সহজ নয়। দিব্যওচাখে নিজেন স্বপ্নের রুপায়ন দেখে তার মনের ডুগডুগি অবিরাম বাজতে থাকায় মন ও মগজকে পুরুপুরি শিতল করা যায়না। অবশেষে অনেক চেষ্টায় হাবিব আলী তার কর

:: ওতটা পুতুপুতু নাই আমার যে পথের কান্নায় বুক ভাসাব স্বপনের জন্য ::

Image
আমার অনুভূতি অতটা পুতুপুতু নয়। যতটা হলে পথের কান্নায় বুক ভাসানো যায়। বেশ শক্ত ঘোচের মানুষ আমি থেতলে যাওয়া মানুষের সামনে বসে তারই স্বজনকে প্রশ্ন করতে পারি, মাথায় যখন গুলি লাগে তখন উনার হাতে একটা পিস্তল ছিল, সেটার মালিক কে জানেন? ক্রসফায়ারে মরা মোশারফের মাকে বলি, আছে আপনার ছেলে হাসপাতালে... আচ্ছা ওর কোন ছবি আছে আপনার কাছে। ত্রস্ত হাতে মোশারফের বোন পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা বের করে দিলে আমি খুব দ্রুত চলে আসতে পারি। যদিও আসার আগে বলে আসি, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে যান। ওসমানীর ইমার্জেন্সিতে... একসময়, কোন এক সময় নাটকের ঘরে আমিও ছিলাম। আমিও ছিলাম নতুন কবিদের ভিড়ে দাড়ানো এক পথিক। সেসব আর আমাকে এখন অতটা টানেনা। যতটা টানে বাদশাহ ফখরুদ্দিন। আমি আর সে পাড়াতে যাইনা। বালিকাগুলোকে বেশ্যা বলিনা যদিও নটী বলতে দোষ কী? আমি আর কবিতার পথে হাটিনা। অতটা দম আমার নেই যতটা দম থাকলে আবুল হাসান হওয়া যায়। আমিও হয়ত ছিলাম স্বপনের পরিচিত তালিকার কোন এক মানুষ। মাঝে মাঝে খবর পাঠালে কিংবা কবিসুলভ বৃষ্টিতে ভিজে মাথা ধরালে আদা দিয়ে মগ ভর্তি চা আমাকেও দিয়েছে মমতায়, স্বপন মাহালি। স্বপন মাহালি কী ছিল আমাদেরই একজন। জানিনা। এসব আর খ

নতুন করে পুরনো শব্দ

Image
আমাদের ঘরময় বাতাসের মত টইটুম্বুর হয়ে ছিল বিষন্নতা সেখানেই এলে তুমি, কাঁদলে, তাকালে, হাসলে, হাসালে কোন ফাঁকে বিষন্নতা ছাড়ল ঘর, টেরই পেলামনা। তুমি হাটলে, দৌড়ালে আমরা ভুলেই গেলাম বিষন্নতা বলে একটি শব্দ আছে বাংলা অভিধানে জ্বরগ্রস্ত তুমি যখন লাল চোখ নিয়ে বলো কমলা রঙের ইঁদুরটা তোমার নীল জামা খামচে খেয়ে ফেলছে! আমরা আঁতকে উঠি! ঝুপ করে ঘরে ঢুকে পড়ে বিষন্নতার শকুন তুমি এমন করে পুরনো ভুলে যাওয়া শব্দগুলো আমাদের মনে করিয়ে দিওনা বাবাই...

৭ মার্চ

কি এক ঘোর লাগা কবিতা... কি এক নেশা জাগানিয়া উচ্চারণ। কি এক ভালবাসা খেলা করে শব্দের পরতে, জেগে ওঠে জনমানুষ...

:: আমার কিছু এলোমেলো সরল মৌলবাদী ভাবনা ::

আমার কিছু সমস্যা আছে। অনেকেই বলেন। আমিও মাঝে মাঝে অনুভব করি। তবু সমস্যাগুলো পুষে রাখি। গোয়ার্তুমি ধরে রাখি। আমার একটা গোয়ার্তুমি লোকগান বিষয়ক। বলা যায়, লোক কবি বিষয়ে। এদরকে যখন ভাংচুর করা হয়। তাদের গান চুরি করা হয় কিংবা একটু আধুনিক প্রলেপে হাজির করা হয়, আমার সেটা খারাপ লাগে। আমি অশ্লিল হয়ে উঠি। মরমি সাধক হাছন রাজা। এ নামেই পরিচয়। আলাদা সূর আর ভাব নিয়ে তিনি বিরাজ করেন আমাদের গ্রাম্য জীবনে। মফস্বলি আমরা তাকে মনে করি আমাদের একান্ত মানুষ। যদিও তিনি ছিলেন জমিদার, রাজা রাজড়া, সামন্ত প্রভু। তবু ভাবের মানুষটা হয়ে যান আমাদের মতো প্রান্তজনদের। আমরা শুনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুশিলের দরবারে (তখনও কী এভাবে সুশিল সমাজ বলে চিৎকার চলত ) হাছনকে পরিচিত করেছিলেন। আমার কেমন লাগে। কবি গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও মানতে পারিনা তার জবানিতে বলা পূর্ববঙ্গের গ্রাম্য কবি শব্দ গুলো। কেমন এক বেদনা জাগায় মনে। মন বলে, তুমি কি কবি আমার গ্রাম্যতাকে হেলা করলে। অপ্রাসঙ্গিক হল কিনা বুঝতে পারছিনা। আমি শুধু আমার বোধের কথা বলি। ব্যক্তিগত বোধ। একই ভাবে গায়কিতেও আনা হচ্ছে আধুনিকতা। হাছনের গানের প্রধান উপাদান হল একবারেই আঞ্চলি

দেয়ালের দাগ

Image
দেয়ালের এক পাশে ছাপ্পান্ন নাম্বার দাগ দেওয়ার সময় দরজায় ঠক ঠক করে আওয়াজ হলো। দাগটা টেনে মতিন সাহেব দরজা খুলে দিলেন।'চাচা আমাকে চিনতে পারছেন? আমি সাইদ, রনজুর বন্ধু।'মতিন সাহেব কোনো কথা বললেন না। কিন্তু সেদিকে সাইদের খেয়াল নেই। সে নিজেদের পরিচয় দেওয়ায় ব্যস্ত_ 'আমার কথা কি আপনার মনে পড়ছে না? সিলেটে আপনাদের আর আমাদের বাড়ি ছিল পাশাপাশি। আমার বাবা তারাপুর চা-বাগানে চাকরি করতেন।' তারাপুর চা-বাগান কথাটা মতিন সাহেবের মাথায় ঢুকেছে। এর আগে সাইদ যা বলেছে তিনি তার কিছুই শোনেননি। এমনকি তিনি ছেলেটাকে চিনতেও পারছেন না। হঠাৎ তার খেয়াল হলো_ তিনি ওর কথা যেমন শুনছেন না, তেমনি বলছেনও না কিছু। তাই প্রশ্ন করলেন_ 'তুমি এখন আসছ কোত্থেকে? প্রশ্নটা করে একটু অস্বস্থি হলো, তুমি বলাটা কি ঠিক হলো...! 'চাচা সিলেট থেকেই আসছি।' মতিন সাহেবের অস্বস্তি কেটে গেল। চাচা বলছে যখন তখন ্তুমি বললে সমস্যা হবে না। আর অস্বস্তি কেটে যেতেই তিনি সাইদকে চিনতে পারলেন। সাইদ, রনজুর বন্ধু। গিয়াস উদ্দিন সাহেবের ছেলে। ওর মা, পারুল ভাবী। খুব সুন্দরী ছিলেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পায়েস রাঁধুনী। রনজু আর স

জলজ বিষন্নতা

অনেকের মাঝে থেকেও আমি ঠিক ঠিক একা হয়ে যাই জলের মায়ায় বেড়ে উঠা জলজ বৃক্ষের মত মাছেদের সাথে ভেসে থেকেও প্রজাতি ভিন্ন

বৃষ্টি অথবা তোমার বন্দনা

পেজা তুলোর মতো বৃষ্টি ঝরছিল অথবা, মখমল বৃষ্টি... অথচ আকাশের রঙ বৃষ্টিরঙা নয় আশ্চর্য অন্য আলোয় রাঙা বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুমি হাত বাড়ালে সিঁড়ির ঠিক পাশে খুলে রাখলে স্যান্ডেল কংক্রিটের উঠোনে হেটে গেলে কোমল পায়ে একবারও আমার দিকে তাকালেনা বৃষ্টির কণা স্পর্শ করছে তোমার চোখের আলো ...বড় ইচ্ছে হয় বৃষ্টি হতে... ...বড় ইচ্ছে হয় বৃষ্টি হই...

আমার বাবাই

Image
সকাল আটটায় তুলি ডাক দেয়। চোখ টেনে মেলে দেখি সোঁনাজান মাথাটা মায়ের বুকে চেপে পা'টা তুলে দিয়েছেন বাপের উপর। আদর করতে ইচ্ছে করে। ঘুম মুখে এগিয়ে যাই। ফিরিয়ে দেয় তুলি। ইশারায় বলে ফিডারটা দাও... এটাই নিয়ম। রাজপুত্রকে ঘুমের ঘোরে না খাওয়ালে আর খাওয়ানো যাবেনা। পা টিপে টিপে ডাইনিং রুমে যাই। কষ্ট করতে হয়না। আম্মা জেগে উঠেছেন আগেই। ... দাদু ভাইয়ের জন্য দুধ বানিয়ে দেন। কোনমতে মুখে পুরেদিই... তিনি টানেন ঘুমের ঘোরে। আমি আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন হই! নয়টা তিরিশে আবারও ডাক পড়ে। ধুন্দুমারের শুরু। তাড়াহুড়োয় কাটে ১৫ মিনিট। পুত্র জেগে উঠেছেন ততনে। তিনি পরম মমতায় আচড়ে পাচড়ে মুখের দু এক যায়গায় জানান দিয়ে দেন। আমি শুধু আহাদিত হই আর বৌকে দেই তাড়া! সোনাজান ইনিয়ে বিনিয়ে কত গল্প করতে চায়... আমার সময় নাই! বলি, বাবাসোনা দাদু তোমায় ডাকে। কিংবা দাদাভাইকে ডেকে বলি, ওরে একটু সামলাওতো। কেমন অভিমান নিয়ে সরে যায় সে। টোনা-টুনি বেরিয়ে পড়ি চুরি করে, ফাঁকি দেই বাবাইটারে... ব্যাস্ত রাস্তায় ছুটে দুই চাকা... বৌকে নামিয়ে দিয়ে চল নিজের গন্তব্যে। শুরু হল যন্ত্রের জীবন। নিউজপ্রিন্ট... কম্পিউটার... প্রেস... এ্যাসাইনমেন্ট... ফোন... প্

জ্বরগ্রস্থ বাক্যবিন্যাস

১. কৈশোরের জ্বরে মরে যাওয়ার ইচ্ছে হত। এখন শুধু তোমার কাছে আসতে ইচ্ছে করে। ২. যতই গভীরে যাই কোমল কোমল কোমল পলি আমি চাষে মাতি... ফসলের ঘ্রানে মেতে উঠুক উঠোন তোমার আমার অতিথি বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ০৮:২২:২০ দ্্বিতীয়?ভাল হইছে। চুপেচুপে আসেন আর গ্যাপে গ্যাপে দেখা হয়! ঘটনাটা কি? নজমুল আলবাব বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ০৮:২৫:৩২ ধন্যবাদ,একটু সমস্যায় ছিলাম কৌশিক ভাই। ঝামেলাময় জীবনরে ভাই। মাহবুব সুমন বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ০৮:২৬:০৪ ঘটনাটা কি ?ভাবীরে কয়া দিমু ! আলভী বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ০৮:২৬:০৬ জটিল হইছে ম্যান। নজমুল আলবাব বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ০৮:৩১:৩৭ মাহবুব ভাই ডর দেখান কেনরে ভাই?আলভী: মানুষের চোইতেওকি বেশি জটিল? অতিথি বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ১০:১১:৪৭ কঠিন................তয় মানুষের মত নয়...... নজমুল আলবাব বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ১১:০৪:৪৭ ঘটনাটা কী? সবাই বলে কঠিন, জটিল...!এরচেয়ে সহজ আর কী হইতে পারে...ধন্যবাদ আবু সালেহ অতিথি বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ১১:২৭:০৬ সেই যে নাই হইলেন আর দেখা মিললো এখন।পোলার কি অবস্থা? নজমুল আলবাব বলেছেন : ২০০৭-০২-০৩ ১১:৩০:৩৯ ভাল এখন।আসলে বুঝলাম এখন কতটা জড়াইছি জীবনের প্যা

:: চন্দ্রাবতী বিষয়ক ::

রৌদ্র ছায়ায় এত খেলা আকাশে, চন্দ্রাবতী তোমার আলো ছায়ায় সব খেলা ম্লান। কী করে বলো তুমি আসবেনা আমার কাছে! চোখে ঠিকই আদর ঝরে পড়ে তোমার। মুখে বল 'না'। চন্দ্রাবতী অতটা বেদনা কীভাবে পোষ ভেতরে তোমার! অমন বেদনাকীভাবে দাও আমায়! তোমার নিরবতায় আমাকে স্পর্শ করে মৃত্যুর শীতলতা।

::বউ, বাটা, বল সাবান::

Image
সমস্যা শুরু হয়েছিল বিয়ের দিনেই। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাদাকে মাত্র এক হাজার টাকা নজরানা দিলো! খেপে গেলেন মা, বাবা, বড় চাচা...। ভাবী যে শো-কেস এনেছে সেটার তাকগুলো কদম কাঠের। সোফার ফোম খুব বাজে, দুদিনেই বসে যাবে। ড্রেসিং টেবিলটার ডিজাইন সেই মান্ধাতা আমলের। আরো কতো ভেজাল যে আছে.....! ভাবীর অনেক খুঁতও বেরুতে লাগলো। কথা বলে কেমন করে, তিন বাড়ির মানুষ শুনতে পায়!ঠা ঠা করে হাসে। বাপের বাড়ির এতো অপরাধের ব্যাপারেও তার কোনো বিকার নেই। এমন ভাব দেখায়...! যেন কিছুই হয়নি... এরকম হলে কার না খারাপ লাগে! শরীর জ্বলবে না কার? আর দাদাও এমন ভেড়ুয়া! বউ এতো বেহায়ার মতো চলে তবু কিচ্ছু বলবে না। যেন কিছুই হয়নি। বিয়েতে এতো অপমান, আর সে মিন মিন করে বলবে, 'থাক এসব নিয়ে কথা বাড়িয়ে আর লাভ কী!' কোনো আত্মসম্মান নেই। দু'দিনেই বউয়ের আঁচলের তলে ঢুকছে! আমরা কেউ ভাবীকে পছন্দ করি না। আচরণেও সেটা বুঝিয়ে দেই। কিন্তু ভাবী সেটা গায়েই মাখে না। আর নিজেকে জড়াবে সবকিছুতে। আমরা হয়তো বসে গল্প করছি বা খেলছি, এসে বলবে_ 'আমিও খেলবো তোমাদের সঙ্গে...। 'বাবা বাটার জুতা পরেন। প্রাচীন ডিজ

ব্যক্তিগত ব্যাখ্যান

আমাদের সুসময়ে সহবাস নামের ছোট গল্পের একটা কাগজ বেরুত। হাসান মোরশেদ ছিলেন সম্পাদক। সাথে ছিলাম নিলাঞ্জন দাশ টুকু, আরিফ জেবতিক, আসিফ মনি, অর্জুন মান্না, সুরঞ্জিত সুমন, অর্ণা রহমান, জাকির আহমদ চৌধুরী, রিয়াদ আওয়াল এবং আমি। সহবাস এর চতুর্থ সংখ্যায় ছাপা হয় ব্যক্তিগত ব্যাখান । ছাপাখানা থেকে আসার পরই বড় ধরনের কয়েকটি অসংগতি আবিস্কার করি আমি। মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু কামান দাগা শেষ। তাই আর ঘাটাইনি বেশি। সাত বছর পর কিছুটা শুধরে নিলাম আজ। ;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;; প্রাইমারি স্কুলে একটা বিষয় ছিল ছবি আঁকার। বাংলা স্যার মাঝে মাঝে কিছু একটা আঁকতে বলতেন। আমরা আলতো হাতে তা আঁকতাম।ক্লাস বলতে এই পর্যন্ত। কিন্তু পরীক্ষার সময় ছবি আঁকার আলাদা পরীক্ষা ঠিকই হতো। পরীক্ষার দিনে ক্লাসের সবাই রঙ, রঙ পেন্সিল, তুলি, স্কেল কত কি নিয়ে আসতো। ...আমার সে সব নেওয়া হতো না। বড় আপা কচি সীমপাতা তুলে দিত বেশ কটা, সাথে বাবার লাল কালির কলম। আর আমার লেখার কলমটাতো থাকতই। এ জন্য আমার আঁকা ছবি সব সময়ই তিন রঙের হতো। কচি সীমপাতা সবুজ, লাল আর কালো নয়ত নীল এই তিন

গঙ্গাস্নান

Image
আগুনে জল দেবার কেউ নেই, নক্ষত্র রাতে তাই শুধু আগুন জ্বলে যায়... জ্বলে যায় আগুন আলবাব পুড়ে... চন্দ্রাবতী আমার, একবার আমায় গঙ্গাস্নানে নিয়ে যাও।

বেহুলা হবে...

Image
রাতের আকাশ তারা ভরা। পাশে লাশ, একাকী বেহুলা। নাচে কংকাল তা-ধিন-ধিন। পরাণ বন্ধু বাজায় বীন। বীনের সাথে বাজছে বাঁশি। কিসের বাঁশি? হাড়ের তৈরি। মাথার খুলি এসট্রে হলে, ফিল্টার হবে হাতের হাড়ে। আলবাব হলে লখিন্দর, বেহুলা তবে কে? তুমি হবে? স্কেচ:নীলু সিনহা

আপন ভূমিকা

এই লেখাটি পথ নামের একটি সাহিত্যপত্রে ছাপা হয় ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারীতে। কয়েকটা শব্দ বদলে পোস্ট করলাম। এক. মোনা হঠাৎ বলে উঠল 'রাজু তুই এত ভালো, তোকে আদর করতে ইচ্ছে করছে রে'। আমি 'থ' মেরে যাই। এই মেয়ে বলে কি! ও জানেনা বিশের যুবক যুবতি পরস্পরকে আদর করলে সে আদর কবিতা হয়ে যায়। মুখে কথা আসে না, পিট পিট করে তাকাই মোনা'র দিকে। মোনা হাসে, খিল, খিল,। গড়পড়তা বালিকার মতো মুখে অাঁচল নিয়ে হাসি থামায়। হাসি থামতে চায় না। বলে যায় মোনা। 'এই এমন তাকিয়ে আছিস কেন! তুই কি ভেবেছিস পুরুষ ভেবে তোকে আদর করব! আরে তুই আবার পুরুষ নাকি? দেখতে কেমন বাচ্চা লাগে!'আমি ঘোৎ করে উঠি 'মোনা কোন কাজটা করলে আমার ব্যাটাত্ব প্রমাণ হবে?' সে থেমে যায়। অনেকন হাসলে চোখের কোনো পানি জমে। তার দু-চোখের কোনো কুয়াশার মতো পানি।হাঁটতে থাকি। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো চকচকে গাড়ি। আয়নায় চেহারাটা দেখে নেই। ঠিক আছে সব কানের লতি পর্যন্ত জুলপি, গোঁফ, মাথাভর্তি কুকড়ানো ছেলেচুল। দুই. হাসান মিয়ার চায়ের দোকানে আমার দুর্দান্ত বন্ধুরা দাঁড়িয়ে। দেখেই হাঁক ছাড়ে 'আও ইয়ার, তুমি আজ আমাদের হিরো। এখন থেকে এই রাস্

আমাদেরও ছিল সুসময়

এই লেখাটা মানসম্মত নয়। অবিন্যাস্ত এবং অসম্পূর্ণ। অনেক কথা, অনেকের কথা বলার ছিল, বলা হল না। আসলে এখন আর আগের মত বলতে পারিনা, যতটা কথা আছে বুকের ভেতর। তাই প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ, মা প্রার্থনা করজোড়। ২৩ নভেম্বর ১৯৯৭। শীতের সন্ধ্যা। সিলেট শহরের সবচেয়ে কাছের একটি গ্রাম। প্রায় নিঃসঙ্গ তরুণ বসে আছে লন্ঠনের আলোয়। কিছুটা বিষন্ন। প্রায়ান্ধকার সেই সময়ে তালপাতার সেপাই এর কন্ঠ। বারান্দায় বেরিয়ে আসে বিষন্ন তরুণ। অন্ধকারে দাঁড়ানো অবয়ব দেখে বিস্ময়ে প্রশ্ন করে তুমি! উত্তরে বলা হয়_'শুভ জন্মদিন'। বিষন্নতা কেটে যায়। মন ভালো হওয়া কান্না গলায় দলা পাকায়। বোকা বোকা আবেগ নিয়ে উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণ বলে কীরে আমাকে ঘরে যেতে দে। ঠান্ডা লাগছে। সেদিনের সেই বিষন্ন তরুণ হলাম আমি আর বোকার মত ভালবাসা ধারণ করা লম্বা লোকটার নাম রিপন চৌধুরী। সেবারের সেই জন্মদিনে এই একজনই আমাকে শুভ কামনা জানিয়েছিল। আর শুভেচ্ছা জানাতে রিপন দা প্রায় চার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিয়েছিল। চার কিলোমিটার সাইকেল চালানো অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সাইকেলটিতে কোনোদিন তেল-গ্রিজ যদি না দেওয়া হয়? সাইকেল চালিয়ে রিপন দা ঘেমে নেয়ে গিয়েছিল। এমনই ছিল আমাদে

দুই কাল

Image
১. নিঃশ্বাসের খুব কাছাকাছি মলাট বিহীন তুমি আমি। ২. আজ তবে ইচ্ছাবিরহ স্পর্শের দূরে নিঃশ্বাস গ্রহনের কাল শেষে পূর্ণিমা রাতে হবে জোনাকীর সহবাস।

লিরিক

জলের সীমানায় আকাশ নদী ছোঁয়া জলের মানুষ অপু কখনই তা ছুঁতে পারেনা। সামহ্যোয়ারে দিয়েছিলাম ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর।