Posts

Showing posts from 2013

লজ্জা

প্রশ্ন কমে যাচ্ছে এখন। আগে যেমন প্রতিটা ঘটনায় হাজারটা প্রশ্ন শুনতে হতো এখন সেরকম না। একটা দুটা প্রশ্ন, তার সাথে মানানসই উত্তরেই কাজ হয়ে যায়। বলছিলাম আমার ছেলের কথা। বড় হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারি। নিজেই উত্তর খোঁজতে শিখে যাচ্ছে। লাল মোটর সাইকেলটা সড়কের ঠিক মাঝ বরাবর পড়ে থাকতে দেখে সে প্রশ্ন করে, বাবা এটা এভাবে পড়ে আছে কেনো, পাশের মেকানিকের দোকানটা দেখিয়ে বলি, ওরা মনেহয় ফেলে রেখেছে। আগে এভাবে বল্লে পাল্টা প্রশ্ন হতো, রাস্তায় কেনো? এখন সেটা হয় না। মোটর সাইকেলটা পাশ কাটিয়ে আসার সময় পিচে পড়ে থাকা রক্তের ছোপটা তার চোখ এড়িয়ে যাবে সেটা আশা করি না। ওর চোখ এখনও অনেক প্রখর। কিন্তু তবু কথা বাড়ায় না। এর আগে আরেকদিন, ছোট জটলাটা পার হবার সময়, অন্ধকারে ওর চোখে পড়ে হাতে থাকা কিছু একটাতে। আমি অবলীলায় বলে দেই, এটা হকি খেলার ব্যাট। দু’দিন পর ও ঠিকই গল্প বলে তার মায়ের কাছে, বাবা বুঝতে পারেনি ওটা লম্বা লম্বা দা ছিলো, সে এগুলোরে হকির ব্যাট মনে করেছে... আমি একটা লম্বা শ্বাস ছাড়ি, যাক ছেলে বোকা ভেবেছে, মিথ্যুকতো আর বলেনি। বাড়িতে খবর শুনিনা, খবরের চ্যানেল থেকে দুরে থাকি। কাবাব হয়ে যাওয়া মানুষ, কব্জি উড়ে যাওয়া

এইসব মৃতকথামালা

জগন্নাথপুরে আমাদের স্কুলের ঠিক পাশেই ছিলো একটা দিঘি। সেই দিঘির পারে সারবাধা আম গাছ। স্কুলের আশেপাশের বাড়িতেও বিস্তর আম গাছ। আমের বোল থেকে ছোট ছোট আম বের হতে শুরু করলেই আমাদের অভিযান শুরু হতো। সেকালে মানুষ অনেক সহনশীল ছিলো, তাই গাছের উপর ইচ্ছামতো নির্যাতন চালাতাম আমরা। এখানে আমরা বলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। বেটে গাব্দা গোব্দা আমার পক্ষে গাছে চড়া কিংবা ঢিল ছোড়ে আম পাড়া হয়ে উঠতো না কখনই। তবু আমার কাছে আমের অভাব হয়নি কখনো। কবির নামের মহা দস্যি ছেলেটা না চাইতেই ইচ্ছামতো আম নেবার পারমিট দিয়ে রেখেছিলো আমাকে। কবিরের সাথে প্রায়ই আমি স্কুলে যেতাম। বাড়ির পাশের রাস্তায় দাড়িয়ে কবির আমার নাম ধরে ডাকতো। এর আগে প্রায় ২০ মিনিট হেটে আসতে হতো তাকে। সে একা আসতো না। একটা বিরাট দল ছিলো তার। আমি সেই দলের সাথে যোগ দিতাম। স্কুলে একসাথে গেলেও ফেরা হতো না একসাথে। কবির স্কুল ছুটির অনেক আগেই ফুড়ুৎ করে স্কুল পালাতো। এই বিষয়ে সে একটা প্রতিভা বিশেষ। আমার জীবনে এমন এক্সপার্ট ক্লাস ফাঁকি দেনেওয়ালা আর ২ টা পাইনি। ফেরার পথে বেশিরভাগ দিনই থাকতো মহাদেব। টিংটিঙা লম্বা মহাদেব। তার বেয়াড়া পা হাফ প্যান্টের বাই

প্রবল বাবাভাব

Image
বাবা ডাক শোনার জন্য আমার মনে হয় একটা ব্যপক আকুলি-বিকুলি ছিলো সেই গেদাকাল থেকে। অথবা আমার মাঝে বাবাভাব প্রবল! খালি বাপ হইতে মঞ্চায়। নিজের পোলা, ভাইয়ের পোলা মিলে ৩ টা শিশু সারাদিন আমারে বাবা-বাবা-বাবা বলে অস্থির করে ফেলে তবু আমার বাপ ডাক শুননের শখ মিটে না!!! এর বাইরে আরও কয়েকহালি বাবা ডাকনেওয়ালা আমি ফিটিং দিয়ে রেখেছি। এরা আমারে বাবা ডাকে, আমি মুগ্ধ হয়ে সেই ডাক হজম করি... বাপ হওনের একটা সহজ পদ্ধতি আমার আছে। শিশুদের সাথে যেকোনভাবে দ্রুত খাতির করে ফেলতে পারি। (ইদানিং এটা করতে সমস্যা হচ্ছে, শরীরটা বাচ্চা হাতির মতো যবে থেকে হতে শুরু করেছে, শিশুরা ততো দুরে সরে যাচ্ছে, শিশুরা সম্ভবত দুর থেকেই হাতি দেখতে ভালোবাসে, কাছে আসে না।) তো খাতির হবার পর গল্প শুরু হয়। আমরা একে অপরের নাম জিজ্ঞেস করি, আর এই নাম জানাজানির সময়ই আমি বাবা বনে যাই! ৯ মাস ১০ মাস না, মাত্র ৯/১০ মিনিটে। : নাম কি? : মাটি : বাহ সুন্দর নাম : তোমার নাম কি? : আমার নাম বাবা : বাবা! : হ্যা আমার নাম বাবা : ... : আসলেই আমার নাম বাবা : তুমারে বাবা কাকু বলবো? : নাহ্, কাকু বলার দরকার কি? তুমি আমারে নাম ধরেই ডাকো : !!! : হ্যা, ত

তিনি বৃদ্ধ ছিলেন

চোখে ছানি পড়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। সে বছর দশেক হবে কম করে হলেও। চোখেরইবা কি দোষ। বয়েসতো কম হলো না। বড় মেয়ের ঘরের নাতির বিয়ে হয়েছে ৭ বছর আগে। আর বড় ছেলে তার মেয়ের বিয়ে দিয়ে ৩ নাতির নানা বনে গেছে। চোখের ছানি নিয়ে তাই কোন অভিযোগ নেই তার। এখানে, এই সবুজ গ্রামের পাশে যে নদী বয়ে গেছে, সেই নদীর পাড়, শান্ত মাঠ, সবই তার চেনা। তিনি ছানিপড়া চোখে সেই নদীর পাশ দিয়ে অবলীলায় হাঁটতে পারেন। নদীর সাথে লাগোয়া মাঠ, সেই মাঠের এক পাশে দাড়িয়ে থাকা মেন্ডা গাছ, সব তার মুখস্থ। তিনি তার অভ্যস্থ পায়ে তরতর করে হেঁটে মেন্ডা গাছটার নিচে এসে দাঁড়াতে পারেন। রোজ বিকালে সেখানে তাকে দাঁড়াতে হয়। অভ্যাস। তার শরীর নদীর বাতাসে জুড়িয়ে যায়। তার মখমলের মতো সাদা দাড়ি বাতাসে উড়ে। ছানি পড়া চোখে তিনি অনুভব করেন ঠিক সামনে, চোখেন সীমানায় দাড়িয়ে আছে খাসিয়া পাহাড়, পাহাড়ের শরীর চিড়ে নেমে আসছে পাংথুমাইর ঝরণা। এই ঝরণায় জোয়ান বয়েসে হরদম গিয়েছেন তিনি। এখন আর যাওয়ার উপায় নেই। এলার্ট বলে এপার-ওপার দুপার থেকেই চিৎকার আসে, থেমে যেতে হয়। তিনি অনুভব করেন, দেখতে পান তার ডান পাশে মাথা উচু করে দাড়িয়ে

আমাদের একা বাড়ি

বাড়িটা হঠাৎ করেই ফাঁকা হয়ে গেলো। বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ। গরমের ছুটি। বউগুলো ছানাপোনা নিয়ে তাই বাপের বাড়ি চলে গেলো। দাদাভাইও বাড়ি নেই। রাত ১০ টার পর ভাত খাবো কীনা জিজ্ঞেস করলেন আম্মা। বল্লাম একটু পরে খাবো। আম্মা ঠিকাছে বলে সাথে এও বল্লেন, ‘আজকে আমরা মা-পুত। একলগে খাই চলো!’ তখনই মনে পড়লো, এই শুনশান বাড়িটাতে, একা বাড়িটাতে আর কেউ নেই, আমি আর আম্মা শুধু! একটা অন্যরকম অনুভূতি। অনেক বছর পর, এরকম একা বাড়ি... টেবিলের দু’পাশে বসে আছি আমি আর আম্মা। টুকটাক কথা বলছি। বেশিরভাগই খাবার নিয়ে। কোনটা নিচ্ছি, কোনটা নিচ্ছি না, সেটা দেখছেন আম্মা। বছর দেড়েক আগে আমি আর আম্মা মাসখানেক প্রবাসে ছিলাম। একসাথে বসে বসে মা ছেলে খেতাম। আমি কখনো দেশের বাইরে যাইনি। আম্মা আমাকে আগলে রাখার চেস্টা করতেন! তখন কিছুটা মনে হয় অস্বাভাবিকও ছিলাম আমি। মাথাটা ফাঁকা ছিলো... আজকে আবার বছর দেড় পর, আবার আমরা মা-ছেলে। দাদাভাইর খবর বলেন আম্মা, খুব বিখ্যাত কোন এক পাহাড়ের না উপত্যকার মাঝ দিয়ে বেড়াচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে কথা বলি আমরা, বউরা একসাথে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেলো, সেটা নিয়ে আলাপ করি, গ্রামে রাতের পাহারা ক

মেঘবাড়ির মানুষেরা সব মেঘেতে লুকাই

তারপর ঝুম ঝুম করে মেঘ নেমে আসে। আমাদের ঘিরে ধরে। পর্দার পর পর্দা পড়তে থাকে। চোখের সীমানা ছোট হয়ে আসে। একটা হালকা স্বচ্ছ চাদরে ঢাকা পড়ে আমাদের চারপাশ। মেঘবাড়ির মানুষ আমরা, মেঘেতে হই মশগুল... তারও আগে, ভোর হবার আগে আকাশ ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদে, পাশের টিলায়, ঝুম ঝুম শব্দ হয়। বারান্দায় দাড়িয়ে রাতের আলোয় দেখি সেই জলধারা। জঙ্গলযাত্রা শুরু করবো, অপেক্ষা। এই পথে এর আগে যখন গিয়েছি, সেদিন রানা ছিলো। মাঝখানের দশকধরা বিচ্ছিন্নতার পর সেটা আমাদের লম্বাযাত্রা। এই সড়কটা প্রিয় আমার। দুপাশে বিস্তির্ন ধানক্ষেত, বর্ষায় জলে টইটম্বুর। সবুজ। একটা রেলপথ এই আসে, এই দুরে সরে যায়। সবুজ বাড়তে থাকে। ছোট ছোট টিলা, ঘন সবুজ, মাটির ঘ্রাণ, নাম না জানা বুনো ফুলের ঘ্রাণ, অচেনা মানুষের মুখ। মনে হয় এই বুঝিবা হারিয়ে যাচ্ছি, অথচ হারানো হয় না। পালাতে চাইলেও পালানো যায় না, তবু কিছুটা সময় গোপন থাকা যায় নিজের খোলসে। এবার এই পথে আমার সঙ্গি শাওন, সায়েম, শান্ত আর আরেকটা শাওন। বাবাইকে নিয়ে আমি আর তুলি এই পথে ভুল করে একবার ঢুকে পড়েছিলাম বছর তিনেক আগে। হারাচ্ছি, হারাচ্ছি কিন্তু হারাচ্ছি না এমন একটা পথ, আ

সিমন আমার ভাই

বাবাইর তখন তিন বছর। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি। ২ অথবা ৩ তারিখ হবে। শুদ্ধস্বর-এ বসে আমরা আড্ডা দিলাম। তারপর জ্যোতি, তারেক, আমি, তুলি, টুটুলভাইসহ কয়েকজন একসাথে বই মেলার পথ ধরলাম। আজীজ মার্কেট এর সোজা উল্টাদিকে রাস্তা পার হয়ে যাদুঘরের পাশের ফুটপাথে উঠতেই দেখি মন্থর গতিতে হাঁটছে, দেখে খুশি হবার বদলে আমার মুখটা শুকিয়ে গেলো। কারণ ঢাকায় যাবার কথা জানানো হয়নি। তার উপর সাথে বাবাইকে নিয়ে গেছি। আমাকে সে অবলীলায় পাশ কাটিয়ে গেলো। নিচের দিকে তার চোখ পড়ে না। পেছন থেকে ওর পিঠে খোঁচা মেরে থামালাম। ফুটপাথে অফিস ফেরত, মেলামূখী মানুষের ভিড়। সেসব কেয়ার না করেই জড়িয়ে ধরলো। ভাইজান বলে একটা চিৎকারও দিলো। একেবারে পিষে ফেলে পারলে। কোনমতো বল্লাম সাথে তোর ভাতিজা আছে দেখ। আমাকে ছেড়ে পাশে দাড়ানো বাবাইকে ছো মেরে কোলে তুলে নিলো। খবর দিলামনা বলে কোন অভিযোগ নেই,শুধু বল্ল, দেখলেন ভাইজান, আমারে খবর না দিলেও আমি ঠিক ঠিক খবর পেয়ে যাই। ফাঁকি দিতে পারবেন না। আমি লজ্জায় কিছু বল্লাম না... সিমন এমনই, সিমনের সাথে আমার এমনই সম্পর্ক। মেলার সেই বিকেলটায় আর একবারও বাবাইকে কোলে নিতে হয়নি আমার। চারুকলার সামনে এসে

৫৭ ধারা নামের কালো আইন

গ্রেফতারকৃত ব্লগারদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার অনলাইন এক্টিভিস্টরা। 'সকল' ব্লগারের মুক্তির দাবিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার একটি আন্দোলন চোখে পড়ল। এর বাইরে একটা জিনিস আড়ালে পড়ে যাচ্ছে, সেটি হচ্ছে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬” এর ৫৭ ধারা নামের কালো আইন। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ডামাডোলের ফাঁকে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এই আইনটি পাস করে ফেলেন। সেকালে বাংলা ব্লগের উন্মেষকালে অনলাইন কমিউনিটি এত বড় ছিল না, তাই আইনটি নিয়ে তেমন আলাপ হয়নি। দুঃখের বিষয়, পরবর্তীতে বাংলা ব্লগ একটু শক্তিশালী হওয়া শুরু হলেই ব্লগার নেতারা আরো জোরালো ও শক্তিশালী আইনের আশায় “সাইবার আইন” এর দাবিতে একটা ব্লগ দিবসও পালন করেছিলেন। আমরা অনেকেই তখন এরকম কালো আইনের বিরোধিতা করেছিলাম। সেই বিরোধিতার কারণে “সাইবার আইন” এর আবদারকারীরা আমাদেরকে রুটিন মেনে দুইবেলা গালাগালি করেছেন। ইতিহাসের নির্মম কৌতুক এই যে সাইবার আইন আমাদের বিরোধিতায় নাড়াচাড়া হওয়া বন্ধ হলেও ঐ আইনের আবদারকারীদের এক সর্দার ব্লগারই এখন সাইবার আইনের পূর্বপুরুষ এই “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুিক্ত আইন, ২০০৬” এর ৫৭ ধারার বলে গ্

শাহবাগ আন্দোলন ও ধর্ম

শাহবাগ আন্দোলন কী, কেন, এবং কাদের দ্বারা সংগঠিত, আন্দোলন শুরুর এতদিন পর সেটা আলোচনা করার আর তেমন প্রয়োজন নেই। নিকট অতীতের রাজনৈতিক পর্যালোচনায় খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা কিংবা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ছাড়া লক্ষ লক্ষ মানুষ যে শুধুমাত্র দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসায় দিনের পর দিন শান্তিপূর্নভাবে দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে, তা সত্যিই অভুতপূর্ব, অসাধারন। কে নেই সেই আন্দোলনে - নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ, ছাত্র-মজুর, শিল্পপতি-ভিক্ষুক - তিরিশ লক্ষ মানুষ হত্যার বিচার নিয়ে সবার পথ আজ শাহবাগ। এই আন্দোলনে শরীক প্রতিটি মানুষ কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু নিজের আত্মা বিকিয়ে দেয়া চাটুকার নন। আন্দোলন শুরুর কয়েকদিনের ভিতরেই জনগনের অবস্থান বুঝতে পেরে আওয়ামীলীগ ও কয়েকটি বাম দল আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। দ্বিধায় পড়ে যায় বিএনপি। তারা তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলাম-কে ছেড়ে আসতে পারে না। একদিকে বিএনপি'র সাদেক হোসেন আন্দোলনকারীদের প্রতি সন্মান জানান, অন্যদিকে হান্নান শাহ এটাকে সরাসরি সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেন। তবে আন্দোলনকারীরা কোন নির্দিষ্ট দলের প্রত