Posts

Showing posts from June, 2018

লক্ষ্মী সরস্বতী দীপাবলী

দক্ষিণের জানালায় দাঁড়ালে হিমেল হাওয়ার ঝাপটা লাগে। শীত এলো বলে। আগে এমন সময় শীত প্রায় চলেই আসতো। দূর্গা পূজার সময় থেকেই হালকা কুয়াশা আর শেষরাতে ঠান্ডা ভাবটা শুরু হতো। রাতে পূজো দেখার কিংবা পাড়া ঘুরার সময় সেটা টের পাওয়া যেতো। এখন আর সেরকম হয় না। মাঘ মাসেই শীত আসে কী আসে না। দীপালির একটু একটু গরম লাগে। অস্বস্তি হয়। জানলার পাশে দাঁড়িয়ে শরীরটা জুড়ানোর চেষ্টা করে। সন্ধ্যা আরতী সেরে এলো। বারান্দার এক কোনে ছোট্ট ঠাকুর ঘর। ধূপ জ্বেলে প্রণাম ঠেকিয়েই শেষ করে আরতী। শরীরে এর বেশি সহ্য হয়না ইদানিং। পরিশ্রান্ত লাগে। এ পাশটায় আগে একটা ছোট্ট পুকুর ছিলো। তারপর ধানি জমিন। জমিনের লাগোয়া বড় রাস্তা। পুকুর আড়াল করা গাছের ফাঁক দিয়ে সেসব দেখা যেতো। বিয়ের পর পর, দীপালি সেই ফাঁকফোকর দিয়েই দেখে ফেলতো নিজের বাপ-ভাইকে। বাজার থেকে উত্তর পাড়ায়, তাদের বাড়িতে যাবার এই একটাই রাস্তা। শীতের সময় মাঠ শুকিয়ে খটখটা হয়ে গেলে মহাদেব বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোনাকোনি দৌঁড়ে আসতো বোনের কাছে। নাড়ু, মোয়া ধরিয়ে দিয়ে যেতো। দেখতে দেখতে সব বদলে গেলো। এই ধানি জমির বেশিরভাগই ছিলো ওর শ্বশুর বাড়ির জ্ঞাতি গোষ্ঠির। এখন কিচ্ছু নাই। কেউ