Posts

Showing posts from March, 2009

অবসাদের কাব্য

সঙ্গম শেষে মানুষ মূলত ক্লান্তই হয়। তবু প্রতিরাতে শহরে, গ্রামে, নিয়নে ও জোনাকের আলোতে মানুষ মিলিত হয় জৈবিক উল্লাসে। দীর্ঘ বিরতি বিরহের মতোনই কাঙাল করে, বিলাপ শেখায়। সময় বেঁধে স্কুলের পেছনে প্রেমিকার জন্যে অপেক্ষা করা বালক জানে ঘড়ির কাটা কতো স্থবির, কচ্ছপ। দুপুরের ছায়া লেপ্টে থাকে, দুঃসময়ের মতো। বিকেল হতে কতক্ষণ লাগে? আজ বিকেল হবে কখন?

সাম্প্রতিক বেদনাবোধ

ঘরদোর সব দেখি আমারে চেপে ধরে দরোজা জানালা বন্ধ হয়ে যায়, প্রস্থানের পথে আচমকা জেগে উঠে কাঁটা ও জঞ্জাল এইসব বিরহ ও দুরত্ব কোনো সমাধান নয় জানি, জেনে রাখো তুমিও, বেদনাকে বোনের মতো পোষে রেখে আমি এই সত্য জেনেছি, মড়কে খরায় খাঁক হয়ে জ্বলে পুড়ে মাটি খাঁটি হয় না। পিপাসাই বাড়ে শুধু। দয়াদ্র হও বালিকা, দয়াদ্র হও। দয়াদ্র হও হে রমনী আমার।

ব্লগরব্লগর: আরেকটা হাবিজাবি রচনা

আমাদের শান্ত বিয়ে করে ফেললো। সচলে মাঝে মাঝে কমেন্ট করে, একটা দুটো পোস্টও আছে অতিথি হিসেবে। সচলে বড়ো নিষ্ঠ সে, তারও বেশি নাটকে। আমার কাছের ভাই ও বন্ধুদের একজন। ডাক্তারের বাড়ি ছিলাম মা'কে নিয়ে, তাই বিয়েতে যাওয়া হয় নি। বৌ-ভাতে উলুম্বুসের মতো হাজির হলে বাবু, অতনুরা হায় হায় করে দৌড়ে আসে। তারা অপুভাইকে আরেকটু স্মার্টভাবে চেয়েছিলো! আমার দাড়ির জঙ্গল, রঙ উঠে যাওয়া শার্টে তাদের মন খারাপ হয়। সব ক’টা স্যুটেড ব্যুটেড হয়ে এসেছে। আমরা বুড়া হয়ে যাচ্ছি। মেয়েগুলো যেভাবে তাদের ঘিরে কুলবিকুল করে, তাতেই খোলাসা হয়, চল্লিশ পেরুতে হবে না, তার আগেই চালসে হয়ে যাও হে আলবাব... আমাদের নাটকের ঘর ভেঙেছে সেই কবে। ছিটকে পড়াদের দেখা হয় এমন সমাবেশে, মাঝে মাঝে। এইবার আর সেটা হয়নি। নাট্যোৎসব মাত্র শেষ হয়েছে। তাই অনেকদিন পরে দেখা হওয়ার বেদনামাখা ভালোলাগা নেই। বরং পুরনো ভাবনা, রোজতো দেখা হয়ই টাইপের একটা অনুভব ছিলো। আমি জানি এই ভাব ও ভালোবাসা বেশিদিন থাকবে না। আবারও আমার উৎসবহীন হয়ে যাবো। সুতো ছিড়ে গেলে ঘুড়ি উড়ে আকাশে, ল্যক্ষহীন উড়াউড়ি শেষে পতিত হয় সে। আমরা এখন একেকটা ভু-কাট্টা ঘুড়ি। আমাদের বন্ধন আলগা হয়ে গেছে, ছিড়ে গেছে