Posts

Showing posts from July, 2012

চিঠি: বাবাইকে

এভাবে বেড়ে উঠলে বাবাকে ছাড়িয়ে তুমি বুক টান করে দাঁড়াতে শিখে যাবে আর কটা দিন পরেই। তোমার সদ্য কাটা চুল হাত গুটিয়ে পরা সাদা শার্ট, নাবিকের নীল প্যান্ট, কালো পলিশ করা জুতো… আমি কিযে মুগ্ধতায় তোমারে দেখি… বাবার কথা মনে পড়ে শুধু। আমি বুঝতে পারি, বাবা কেমন চোখে দেখতেন আমারে… তোমার সাথে কথায় পারি না এখনই, তোমার মতো মানবিকবোধও নাই আমার আমি শুধু মুগ্ধ হতে জানি, তোমার ফড়িং বন্ধুর মতো আমি তোমার আরেকটা বন্ধু হতে চাই, এ্যাকুরিয়ামে রাখা সোনালী মাছের মতো নিয়ত সাতরাতে চাই তোমার মনে! জানি সেসব সম্ভব নয় আমার জীবনে… তুমি জানবে, তোমাকে জানানো হবে এক ব্যর্থ পিতার সন্তান তুমি। পিতাকে নিয়ে অহংকারী কোন উচ্চারণ তোমার থাকবে না বাবাই শুধুমাত্র একটা ঘোষনা তুমি বুক উচিয়ে দিতে পারো চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে দাঁড়িয়ে- ‘তোমার বাবা, কালো বোকা মানুষটা ভীষণ ভালোবাসতো তোমায় …

বাড়ি ফেরা

আজ গরম খুব বেশি। শ্রাবণ মাসের তপ্ত রোদ। এই মাসটা বৃষ্টির মাস। বৃষ্টি মানেই একটা কোমল ভাবনা, কোমল সময়। রবীন্দ্রনাথ বৃষ্টি নিয়ে কতো রকম আমোদে কাব্য রচনা করেছেন। কিন্তু সব কিছুই এখন উল্টে গেছে। গত তিনদিন ধরে টানা রোদ দিচ্ছে। আকাশে একফোটা মেঘ নেই। এরকম রোদ আরো কয়েকদিন হয়তো চলবে। অবশ্য এই মাসটার কোন তাল নেই। কোন ফাকে দেখা যাবে কোত্থেকে টেনে হিচড়ে মেঘ নিয়ে এসেছে, তারপর ঝুম... রাহাত চিন্তা করে দেখেছে, প্রকৃতি সবসময় তার সাথে বৈরি আচরণ করে। যখন একটু ছায়া দরকার তার, তখন দেখা যাবে আকাশে এক টুকরা মেঘও নেই। আর যখন তার রোদ দরকার তখন দেখা যাবে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। তিন রাস্তার মোড়টাতে দাড়িয়ে রিকশা খুজতে খুজতে ঘামে প্রায় গোসল হয়ে যাচ্ছে তার। না পাচ্ছে রিক্সা না পাচ্ছে ছায়া। ফোন বাজে প্যান্টের পকেটে। ময়নাবাবু নিশ্চয়। হ্যা, দাদুর ফোন থেকে রিং করেছে। ইদানিং এই এক মজা হয়েছে তার। বাবার নাম্বারটা মুখস্থ করেছে। তাই যখন ইচ্ছে তখন যারতার ফোন থেকে কল করে ফেলে। সেদিন স্কুল থেকে ফোন দিয়েছে। ক্লাস টিচারের ফোন থেকে। বিষয়টা ভাবতেই বিব্রত হতে হয়। আজকে এই নিয়ে তিনবার হলো। ফোন ধরেই এক কথা, বাবা ফুলঝরি বাতি