Posts

Showing posts from June, 2015

জ্বরগ্রস্ত

বৃষ্টি, জ্বর আর একাকিত্ব নিয়ে আমার বেড়ে উঠা। বৃষ্টিকে আমরা মেঘ বলি। মেঘের পর মেঘ আমাকে ভিজিয়েছে আশৈশব, বালকবেলা থেকে মেঘে ভিজতে ভিজতে পেরিয়ে এসেছি একাকী তারুণ্য, এসে দাঁড়িয়েছি চালসে সময়ের সামনে... এত বেশি জ্বর হতো, কেউ আর সেটাকে গুরুত্ব দিতো না। মা-ও না। একবার জ্বরে গা পুড়ে যায়, নানা বাড়ির পুরনো আমলের পালঙ্কে আমার চে বয়েসে বড় রেজাইর নিচে শুয়ে দেখি মা শহরে চলে গেলেন। ডাক্তার দেখাতে হবে যে। জন্মের দাগ রেখে এসেছি মায়ের জরায়ুতে, সে-ও তো আর ভালো থাকে না। সেবার জ্বর ছিলোনা শুধু, সন্ধ্যার আগে আগে সারা শরীর লাল হয়ে হাম এলো! নানী তখন কানে শুনতে পাননা ভালো করে। দুদুমইর বাড়ি থেকে কীসব শিকড় বাকড় আনালেন। একটু পর পর নানী শরীরে হাত বুলিয়ে দেন, আহ্ প্রশান্তি... চিঠি লিখি। রোল টানা বাংলা খাতার পাতা ছিঁড়ে। ভেতরে অনেক গরম, দই খেতে ইচ্ছে করে, মা বাড়ি নেই... সব লিখে দেই, সব। লোকটার নাম ভুলে গেছি। একটা বড় ঝোলা থাকতো কাঁধে। চোখে মোটা কাচের চশমা। নাকের উপর সুতো পেঁচিয়ে রাখা। চিঠি থাকুক আর না থাকুক এপাশটায় এলে নানাবাড়িতে একবার তিনি আসতেনই। সেই একই খাতার পাতা ছিঁড়ে খাম বানিয়ে ভাত দিয়ে আঠা লাগিয়ে তাঁর হাত