Posts

Showing posts from September, 2008

এমন চিঠি আর কেউ লিখবে না...

প্রিয় নজমুল আলবাব, আমার বয়সীরা সাধারণত কনিষ্ঠদের লেখা নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাদের লেখা পড়ে না, পড়লেও স্বীকার করতে চায় না, করলেও প্রশংসায় তাদের শব্দের ঘাটতি পড়ে। ব্যতিক্রম হওয়ার জন্যে নয়, আমি সাম্প্রতিক লেখকদের জানতে চাই, তাদের ভাবনা বুঝতে চাই, তাদের কাছে শিখতেও চাই। আদৌ জানা-পরিচয় নেই, এমন অনেকের লেখা পড়ে ভালো লাগলে নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করেছি, এমন ঘটনা খুব বিরল নয়। আপনার লেখা এবং তার অন্তর্নিহিত শক্তি নিয়ে আমার মুগ্ধতা আছে, সে কথা প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবেও জানিয়েছি। আপনার কাছে আরো অনেক গাঢ় ও গভীর রচনা পাবো আশা করি। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে একটি পুরনো প্রসঙ্গের অবতারণা না করে উপায় দেখছি না। আজকের টম-জেরি গল্পটি আমার যতোটা ভালো লেগেছে, ঠিক ততোটাই ব্যথিত করেছে এর অসংখ্য ভুল বানান ও অসতর্ক বাক্যনির্মাণ। আপনি মনঃক্ষূণ্ণ হলেও আমাকে বলতেই হবে, আমার প্রিয় লেখকের কাছে আমি এটা আদৌ আশা করি না। ব্যস্ত দৈনন্দিন জীবন, বয়স ইত্যাদি অজুহাত আসলে অচল। অবাংলাভাষী আবু সয়ীদ আইয়ুব বাংলা শিখেছিলেন চল্লিশ বছর বয়সে এবং শিখেছিলেন অনেক বাংলাভাষীকে শেখানোর মতো করে। চেক বংশোদ্ভুত লেখক মিলান কুন্ডেরা প্রথম জীবনে লি

মেঘদেখা বালিকা

কি এমন খোঁজ ব্যস্ত রাস্তায় মেঘেদের মতো চঞ্চল চোখে শাহানা, আকাশে আজ তারা নেই, মৃত্তিকায় নেই জল আজ প্রেমহীন সময়ে ঘুঙুর বাঁধা পা নিয়ে খবরহীন উড়ে বিষন্ন পায়রা আজ কোন খবর পাঠাইনি মেঘের আড়ালে তোমার জন্য নিজেই এসেছি, এসো ফুল খেলি... প্রেমহীন প্রথিবীকে আমি আজ শাহানার রঙে রাঙাবো...

স্বপ্নের শুরু হইছে, খুশবো ছড়ালো বলে...

সকাল হয়েছে সবে। আলো ফুটতে শুরু করেছে আকাশে। মহারাণী রিকশায় চড়ে হাসপাতালে রওয়ানা হলেন! সাথে গুণধর রাজপুত্র! শহরের বড় মোড়টাতে এসে হাসপাতালের রাস্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে একজনকে জিজ্ঞেস করলেন। রিকশা আবার চলতে শুরু করলে আবেগে গদগদ লোকটা রাজপুত্রের জন্য শুভকামনা জানায়। বলে, ভাইয়া ভালো থাকবেন। এরপরেই তার ইচ্ছা জাগে, তাঁদের সাথে যোগ দেয়ার ইচ্ছা। সে পেছন থেকে কাতর কণ্ঠে বলে, আমি আপনাদের সাথে আসি? প্রথমে কোন জবাব আসে না। কয়েক পল পরে, রাণীমা মুখ ফেরান আর তার বিখ্যাত গোলাবী হাসি দিয়ে ইশারা করেন... এটা একটা স্বপ্ন। মহান এক তেলবাজ এই স্বপ্নটা দেখেছেন এবং পরিচিতদের কাছে স্বপ্নটা বর্ণনা করছেন। স্বপ্নের তাবির দেনেওয়ালারা এইটা নিয়া গবেষণায় ব্যাস্ত এখন। সেই পুরনো খেলা আবার শুরু হলো তবে। শোনা যায় হাওয়ায় আবার খেলা জমছে। খুশবো ছড়াবে যে কোন সময়। আবারও ভাইয়ারা ছড়ি ঘোরাবেন, দেশকে আবার ইচ্ছেমতো উল্টে পাল্টে ভেজে খাবেন। আমরা দেখব আর আপ্লুত হবো। স্বপ্ন দেখতে দেখতে লোকজন হাওয়ার সামনে লাইন দেবে। তাদের ঝুলন্ত জিহ্বা থেকে ঝরবে লোভাতুর লালা। এই যদি কথা ছিল, তবে কেন খেলারামের এত খেলা? তবে কেন এত হম্বি তম্বি? সব শালা

একটা দিনলিপি রিস্টোর হইতেছে ফ্রম মেমোরি...

শিমুল আমারে ডান দিকে তাকাতে বলে। আমি কিছুই দেখি না। সে আবার দেখায়। সদ্যই ণূড়ে এ্যালার্ম এর খোমা আবিস্কার করে আমি আপ্লুত অবস্থায় তখন, তাই চোখ বিট্রে করে, শিমুল আমাকে কয়েক হাত টেনে নিয়ে দাড় করিয়ে দেয়, 'হিমু মানি একচেঞ্জ' এর সামনে। আমি চোখ কুচকে তারে জিগাই, এইটার মানে কি? শিমুল বলে, দেখো না বেটা মানি লন্ডারিং করতো আগে, আর সচলে কেমন ভাব নেয়। আমি বলি, ধুর ব্যাটা, একচেঞ্জ করলেই কি মানি লন্ডারিং করে নাকি সবাই? সে আমারে ফু: দিয়া উড়ায়া দেয়ার ভঙ্গি করে বলে, তোমার বয়েস ৪০ না হয়ে ৬০ হওয়া দরকার। আরে এইসব আকাম করত বলেইতে সে ভাগছে... আমি মাথা নাড়াই। কিছুই বুঝি না। অয়নের দিকে তাকাই। দেখি সেও কিছু বুঝে নাই। শিমুলের দিকে তাকাই আবার, বেটা এত পাকলো কেমনে? তারপরে সামনে দিয়া হাটতে হাটতে সে বলে, অপু ভাই তুমি একটু সাদা দুনিয়ার হিসাব বুঝতে শিখ। তোমারে বুঝাইতে বুঝাইতে আমার বয়েস চল্লিশ হতে চল্ল, কিন্তু তোমার কোন উন্নতি নাই! নিজেরে আমার অসহায় লাগে। আমি এত কম বুঝি কেন? সে যাত্রায় শিমুল আমাকে অনেক কিছুই বুঝায়। শাহবাগের মোড়ে নির্মলেন্দুরে দেখায়। আমি বাদাম খাই, আর মাথা নাড়াই। পরে সিলেটে এসে আবার পুরানা কথা তু