শুভ জন্মদিন রনি ভাই
আমার দেখা হল কবে তার সাথে? ১৯৯৪/৯৫ সাল মনে হয়। তবে শীতের দিন, না রাত ছিল সেটা। এবং রোজা ছিল। ঈদের আগের রাত। বন্দরবাজারের আলুপটলময় জঙলায়।
দাদাভাই আমারে নিয়া গেছে জুতা কিনা দিতে। ঈদের জুতা। সেই এলাকায় তখন সিলেটের বিখ্যাত করিম উল্লাহ সু স্টোর।
আতকা দেখি পান্ডামত এক পোলা সেখানে হাজির। ইয়া লম্বা। কালো একটা লেদার জ্যাকেট গায়ে। সেই জ্যাকেটে আবার দুনিয়ার ট্যাগ, ব্যাজ এইসব লাগানো! দেখেই আমার একটা বদ ধারণা হল। সে দেখি আবার কথা বলে দাদার লগে কথা বলে, ওই টিপু কই আইছস! আমি কই হালার দাদায় দেখি ইদানিঙ পান্ডাগো লগে চলে! জুতা কিনা দিতে গেছে শুনে বলে, এই তুই জলদি মধুবনে যা, সুন্দর জুতা নিয়া আসছে একটা দোকানে। আমি কই আরে বেটায় দেখি আবার খবরও ফেরি করে! তবে কন্ঠটা বেটার গোন্ডাপান্ডা টাইপ না :) বাচ্চা বাচ্চা...
আমরা দুই ভাই মধুবনে যাই। দাদারে জিজ্ঞেস করি এইটা কে? সে পাল্টা জিগায়, কেন? আমি বলি পান্ডাদের মত লাগে! দাদা শুধু হাসে...
এই পান্ডা লোকটার লগে আমার পরে খাতির হয়ে গেল। মহা খাতির। এমনকি দাদাভাইয়ের চাইতেও বেশি কোন কোন ক্ষেত্রে! আমারে তিনি বড়ভাই ডাকা শুরু করলেন! আমিও তারে বড়ভাই ডাকি। উচ্ছাসের বৈশাখী আয়োজনে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকি। প্রান্তিকের নাটকের ঘরে তার সাথে কথা হয়। যেখানেই দেখা হয় আগলে রাখেন।
আঙুলে হিসাব করলে ১৪ বছরের পরিচয়। ১৪ বছরের গল্প। কত কত গল্প। এই গল্পগুলো আমাদের। আমাদের ভাই এবং বন্ধুদের। আমার অনেক প্রিয় ভাই আছেন। যারা আমাকে আগলে আগলে রাখছেন। কেউ চাকরির খোজ দেন। কেউ ব্যাবসার ধান্দা দেন। কেউ সময় দেন যখন আমি বিষন্ন থাকি। ওভারসিজ কল করে বলেন, ভাল থাকিস, চিন্তা করিসনা, আমরা আছি।
তাদের মাঝে একজনের কথা বল্লাম এখানে। আজ ১৪ই জানুয়ারি যার জন্মদিন। আপনারা তাকে শুভ জন্মদিন বলুন, শুভ জন্মদিন রনি ভাই, শুভ জন্মদিন
লেখা হয়েছিল ১৪ জানুয়ারি ২০০৮। সচলায়তনে প্রকাশিত।
http://www.sachalayatan.com/albab/11399
দাদাভাই আমারে নিয়া গেছে জুতা কিনা দিতে। ঈদের জুতা। সেই এলাকায় তখন সিলেটের বিখ্যাত করিম উল্লাহ সু স্টোর।
আতকা দেখি পান্ডামত এক পোলা সেখানে হাজির। ইয়া লম্বা। কালো একটা লেদার জ্যাকেট গায়ে। সেই জ্যাকেটে আবার দুনিয়ার ট্যাগ, ব্যাজ এইসব লাগানো! দেখেই আমার একটা বদ ধারণা হল। সে দেখি আবার কথা বলে দাদার লগে কথা বলে, ওই টিপু কই আইছস! আমি কই হালার দাদায় দেখি ইদানিঙ পান্ডাগো লগে চলে! জুতা কিনা দিতে গেছে শুনে বলে, এই তুই জলদি মধুবনে যা, সুন্দর জুতা নিয়া আসছে একটা দোকানে। আমি কই আরে বেটায় দেখি আবার খবরও ফেরি করে! তবে কন্ঠটা বেটার গোন্ডাপান্ডা টাইপ না :) বাচ্চা বাচ্চা...
আমরা দুই ভাই মধুবনে যাই। দাদারে জিজ্ঞেস করি এইটা কে? সে পাল্টা জিগায়, কেন? আমি বলি পান্ডাদের মত লাগে! দাদা শুধু হাসে...
এই পান্ডা লোকটার লগে আমার পরে খাতির হয়ে গেল। মহা খাতির। এমনকি দাদাভাইয়ের চাইতেও বেশি কোন কোন ক্ষেত্রে! আমারে তিনি বড়ভাই ডাকা শুরু করলেন! আমিও তারে বড়ভাই ডাকি। উচ্ছাসের বৈশাখী আয়োজনে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকি। প্রান্তিকের নাটকের ঘরে তার সাথে কথা হয়। যেখানেই দেখা হয় আগলে রাখেন।
আঙুলে হিসাব করলে ১৪ বছরের পরিচয়। ১৪ বছরের গল্প। কত কত গল্প। এই গল্পগুলো আমাদের। আমাদের ভাই এবং বন্ধুদের। আমার অনেক প্রিয় ভাই আছেন। যারা আমাকে আগলে আগলে রাখছেন। কেউ চাকরির খোজ দেন। কেউ ব্যাবসার ধান্দা দেন। কেউ সময় দেন যখন আমি বিষন্ন থাকি। ওভারসিজ কল করে বলেন, ভাল থাকিস, চিন্তা করিসনা, আমরা আছি।
তাদের মাঝে একজনের কথা বল্লাম এখানে। আজ ১৪ই জানুয়ারি যার জন্মদিন। আপনারা তাকে শুভ জন্মদিন বলুন, শুভ জন্মদিন রনি ভাই, শুভ জন্মদিন
লেখা হয়েছিল ১৪ জানুয়ারি ২০০৮। সচলায়তনে প্রকাশিত।
http://www.sachalayatan.com/albab/11399
Comments
Post a Comment