Posts

Showing posts from 2020

ঝিঁঝি পোকার বাড়ি

মাথার ভেতর শ'য়ে শ'য়ে ঝিঁঝি পোকা বাসা বেঁধেছে। দিনমান চেঁচিয়ে যাচ্ছেতো যাচ্ছেই। কোন বিরাম নেই। প্রতি মুহূর্তে এরা বাচ্চা দিচ্ছে মনে হয়। কারণ শব্দটা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। 𑂽 মোবাইলের স্ক্রিণ নেশার মতো হয়ে গেছে। স্ক্রিণটাইম দেখার অপশনে গিয়ে ছেলে নসিহত দেয়। নিজের কাছেও মনেহয়, বেশি হয়ে যাচ্ছে। এপস ফেলে দিলাম। প্রথম দিন একটু কষ্ট হলেও দ্বিতীয় দিন থেকেই বেশ নির্ভার লাগছে। রাতে বা একদম সকালে কম্পিউটারে আপডেট জানতে কিছু সময় ঘুরাফেরা। মোবাইল এপসের যে মজা, সেটাতো আর কম্পিউটারের ব্রাউজারে পাওয়া যায়না। মিনিট কয়েক চোখ বুলিয়েই পরিশ্রান্ত মনে হয়! তবে, ফলটা ভালো হয়েছে। আজন্ম লাল চোখটা যথেষ্ঠ বিশ্রাম পেয়ে একটু একটু সাদা হয়ে গেছে (মনের ভুল)। হাতে বাঁধা রক্তচাপ মাপার ব্যান্ডটাও বেশ সহনশীল ডিজিট দেখাচ্ছে। খবর বেঁচে খাওয়ার পুরনো অভ্যাস থেকে এখনও নানা খবর আন্দোলিত করে। কোন কোন খবর একটু আগে জানা হয়ে যায়। জানাজানির একটা প্রধান উৎস হলো ফেইসবুক আর চেইন মেইল। ফেসবুক এপস ফেলে দেয়ায় নানান ধরণের মাথা খারাপ, মন খারাপ করা খবর সময়ের চেয়ে পরে জানতে পারছি। এবং আশ্চর্য হয়ে দেখছি, প্রতিক্রিয়ায় অনেক সহনশীল এবং চাপহী

হারাবার কথা

হারিয়ে যাবারই কথা ছিলো। দুরের কোন গ্রামে, হঠাৎ জেগে ওঠা কোন বাজারের কোলাহলে আমার হারিয়ে যাবার কথা ছিলো। প্রতি রাতে আমি বাড়ি ফিরি। নয়া বাজার থেকে  হাঁটতে হাঁটতে । প্রতি রাতে বাড়ি ফিরি, রিকাবী বাজার থেকে। দরগাহর কবরখানা থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ির সামনের তিনমাথা রাস্তায় গিয়ে হাপিয়ে উঠি। হাঁসফাস করে তখন ঘুম ভাঙে, বরফে সাদা হয়ে থাকা এক দুরের দ্যাশে। কতটা স্টেশন পেরিয়ে এলাম, জানিনা। আব্বা, আমি হারিয়ে ফেলেছি ঠিকানা। মুছে গেছে বুক পকেটে রাখা কাগজের সবকটা রেখা।