স্বপ্নের শুরু হইছে, খুশবো ছড়ালো বলে...

সকাল হয়েছে সবে। আলো ফুটতে শুরু করেছে আকাশে। মহারাণী রিকশায় চড়ে হাসপাতালে রওয়ানা হলেন! সাথে গুণধর রাজপুত্র! শহরের বড় মোড়টাতে এসে হাসপাতালের রাস্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে একজনকে জিজ্ঞেস করলেন। রিকশা আবার চলতে শুরু করলে আবেগে গদগদ লোকটা রাজপুত্রের জন্য শুভকামনা জানায়। বলে, ভাইয়া ভালো থাকবেন। এরপরেই তার ইচ্ছা জাগে, তাঁদের সাথে যোগ দেয়ার ইচ্ছা। সে পেছন থেকে কাতর কণ্ঠে বলে, আমি আপনাদের সাথে আসি? প্রথমে কোন জবাব আসে না। কয়েক পল পরে, রাণীমা মুখ ফেরান আর তার বিখ্যাত গোলাবী হাসি দিয়ে ইশারা করেন...
এটা একটা স্বপ্ন। মহান এক তেলবাজ এই স্বপ্নটা দেখেছেন এবং পরিচিতদের কাছে স্বপ্নটা বর্ণনা করছেন। স্বপ্নের তাবির দেনেওয়ালারা এইটা নিয়া গবেষণায় ব্যাস্ত এখন।
সেই পুরনো খেলা আবার শুরু হলো তবে। শোনা যায় হাওয়ায় আবার খেলা জমছে। খুশবো ছড়াবে যে কোন সময়। আবারও ভাইয়ারা ছড়ি ঘোরাবেন, দেশকে আবার ইচ্ছেমতো উল্টে পাল্টে ভেজে খাবেন। আমরা দেখব আর আপ্লুত হবো। স্বপ্ন দেখতে দেখতে লোকজন হাওয়ার সামনে লাইন দেবে। তাদের ঝুলন্ত জিহ্বা থেকে ঝরবে লোভাতুর লালা।
এই যদি কথা ছিল, তবে কেন খেলারামের এত খেলা? তবে কেন এত হম্বি তম্বি? সব শালাই ঠিক থেকে যায়। স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন বিলায়। পা’টা ভাঙ্গে শুধু আহমেদ নূরদের। বেকার হয় রুমন, নাজিম।
কিছু করার নেই হে বালক বালিকারা, হুগা মারা খাবে বলেইতো সবুজ শ্যামল দেশে জন্মাইছ তোমরা আবালের দল।

Comments

Popular posts from this blog

বিহঙ্গ হয়েছে অন্ধ, বন্ধ করেছে পাখা

ম্লান আলোয় দেখা টুকরো শৈশব ০২

বিকেলের রোদে দেখা মেয়ে