পতঙ্গের জীবন


সূর্যটা কমলা রং এর হতে না হতেই তুমি প্রস্তুত।
একবার বাবাকে, একবার মা'কে আরেকবার দাদাকে
তারপর দাদু। সবার কাছে একটাই প্রশ্ন, দেরি হলো?



তোমার কোমল শরীরটা দাঁড়াতে চায় না। তোমার পিচুটি
জড়ানো চোখে জলের ঝাপটা দিতে দিতে, ফোকলা দাঁতে
ব্রাশ ঘষতে ঘষতে, তুমি জিজ্ঞেস করো, আজও কি লেইট?



তুমি চলতি পথে বার বার প্রশ্ন করো, আজও কি শুনতে হবে
লেইট মর্নিং? নাকি আজ গুড মর্নিং এখনও রয়েছে? লাল দালানে
ঢোকার আগে আমি তোমাকে দেখি না। দেখি না তোমার দুরুদুরু বুক
করুণ চোখ, তুমি ত্রস্ত পায়ে ভেতরে যাও, ফিরে তাকাও, হাত নাড়ো।



বাবাই, তোমার স্কুলের গেটে দাড়িয়ে থাকা দারোয়ানকে আমার বড়ো
বেশি ভাগ্যবান মনে হয়। প্রতি ঘন্টায় তুমি যখন একবার করে ব্যালকনিতে
দাঁড়িয়ে আকাশ দেখো, তখন সে তোমাকে দেখতে পায়। আমি দেখি না...

Comments

  1. অনেক সুন্দর তো কবিতাটি...
    শেষের দিকটা ছুঁয়ে গেল...

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিহঙ্গ হয়েছে অন্ধ, বন্ধ করেছে পাখা

ম্লান আলোয় দেখা টুকরো শৈশব ০২

মিহিদানা