শাহবাগ আন্দোলন ও ধর্ম

শাহবাগ আন্দোলন কী, কেন, এবং কাদের দ্বারা সংগঠিত, আন্দোলন শুরুর এতদিন পর সেটা আলোচনা করার আর তেমন প্রয়োজন নেই। নিকট অতীতের রাজনৈতিক পর্যালোচনায় খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা কিংবা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ছাড়া লক্ষ লক্ষ মানুষ যে শুধুমাত্র দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসায় দিনের পর দিন শান্তিপূর্নভাবে দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে, তা সত্যিই অভুতপূর্ব, অসাধারন। কে নেই সেই আন্দোলনে - নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ, ছাত্র-মজুর, শিল্পপতি-ভিক্ষুক - তিরিশ লক্ষ মানুষ হত্যার বিচার নিয়ে সবার পথ আজ শাহবাগ। এই আন্দোলনে শরীক প্রতিটি মানুষ কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু নিজের আত্মা বিকিয়ে দেয়া চাটুকার নন।
আন্দোলন শুরুর কয়েকদিনের ভিতরেই জনগনের অবস্থান বুঝতে পেরে আওয়ামীলীগ ও কয়েকটি বাম দল আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। দ্বিধায় পড়ে যায় বিএনপি। তারা তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলাম-কে ছেড়ে আসতে পারে না। একদিকে বিএনপি'র সাদেক হোসেন আন্দোলনকারীদের প্রতি সন্মান জানান, অন্যদিকে হান্নান শাহ এটাকে সরাসরি সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেন। তবে আন্দোলনকারীরা কোন নির্দিষ্ট দলের প্রতি প্রেম বা বিরাগ প্রদর্শন না করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। এক্ষেত্রে তারা দারুন বিচক্ষনতার পরিচয় দেন। তবে আন্দোলনে সারাসরি আঘাত আসে যুদ্ধাপরাধীদের মুল আস্তানা জামায়াতে ইসলাম এবং তাদের সমমনা কয়েকটি ইসলামী দল থেকে। ১৫ ফেব্রুয়ারী নিজ বাসার সামনে খুন হোন ব্লগার রাজিব হায়দার যিনি থাবাবাবা নিক নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করতেন। বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগে কিছু ব্লগারের ধর্ম বিরোধী লিখার অংশ বিশেষ অথবা কোন কমেন্টের স্ক্রীণ শট নিয়ে লিফলেটে ছাপিয়ে জামাতের কর্মীরা শাহবাগ আন্দোলনের প্রতিটা ব্লগারকে ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালায়। নিজেদের পিঠ বাঁচাতে দেশের সাধারন ধর্মপ্রান মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা আবারও বেছে নেয় তাদেত বহুল ব্যাবহৃত ব্যবসায়িক অস্ত্র - ইসলাম।
ধর্মকে ব্যবহার করে আধিপত্যবাদী অপশক্তির নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা আমাদের উপমহাদেশে নতুন কিছু নয়। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পাকিস্তানের শাসকরা আমাদের উপর যখন বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দূ ভাষা চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করে হয়, তখনও বলা হয়, বাংলা হচ্ছে হিন্দুয়ানী ভাষা। আসল মুসলামানের ভাষা হচ্ছে উর্দূ। এমনকি আরবী হরফে বাংলা লিখা চালু করারও একটা চেষ্টা করা হয় তখন। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র সফল হয় না। রক্তের বিনিময়ে বাঙ্গালী তাদের মাতৃভাষার সন্মান রক্ষা করে। ১৯৭১-এ আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইন্ডিয়ার হিন্দুদের দেশ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী। ইন্ডিয়ার হিন্দু আর বাংলার 'কাফির' হয়ে যাওয়া মুসলমানদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করার জন্য এদেশীয় কিছু বেঈমানকে সাথে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা-লুন্ঠন-ধর্ষন জায়েজ করার চেষ্টা চালায়। গণীমতের মাল বলে আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয় রাজাকার, আল বদরেরা। ১৯৯০ সালে তীব্র গণআন্দোলন নস্যাত করার জন্য স্বৈরশাষক এরশাদ সামনে নিয়ে আসে ধর্ম কে। ৯০-এর ৩০ অক্টোবরে ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার জন্য মিছিল করে ভারতের হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। পুলিশের বাঁধার মুখে ঐদিন মৌলবাদীরা সফল হতে পারেনি। ৩১ অক্টোবর এরশাদের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজাকার মাওলানা মান্নানের দৈনিক ইনকিলাবে বড় হেডিং-এ ছাপা হয় বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার মিথ্যে সংবাদ। সেই সাথে তীব্র উস্কানীমূলক বক্তব্য। সুযোগসন্ধানী মৌলবাদীশক্তি ভাংচুর করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ হিন্দুদের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এতো কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়না এরশাদের। মাত্র এক মাসের মাথায় ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক ধর্মভীরু, কিন্তু সাম্প্রদায়িক নয়। ধর্মকে ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় হয়তো সাময়িক বিভ্রান্ত হয়, কিন্তু শেষপর্যন্ত কোন ষড়যন্ত্রই সফল হয়না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো, সেদেশে এতো চেষ্টা আর বিনিয়োগের পরও জামাত-শিবিরের ভোট ব্যাংক তাই নগন্য।
২০১৩ ফেব্রুয়ারীতেও তাই রাজাকারগোষ্ঠী নিজেদের রক্ষায় আবারও বেছে নিয়েছে ধর্মকে। ধর্মের অপব্যাক্ষ্যা দিয়ে, দৈনিক সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন-এর মতো দলীয় মুখপাত্র-কে কাজে লাগিয়ে তারা শাহবাগের আন্দোলনকে ইসলামের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের আন্দোলন হিসেবে চালিয়ে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপিপন্থী পত্রিকা দৈনিক আমার দেশও সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারী দৈনিক আমার দেশ পাঁচজন ব্লগারের ছবি ছাপিয়ে তাদের ধর্মদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত করে। এ সংক্রান্ত খবরে কিন্তু স্বঘোষিত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন ছাড়া অন্যকোন ব্লগারের ইসলাম বিদ্বেষী কোন লেখাই প্রমান হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে না। মিডিয়া মালিকানার জোরে একজন মুসলিম ব্লগারের ধর্মবিশ্বাসকে হেয়প্রতিপন্ন করা আমার দেশ এবং তার সহযোগীদের উদ্দেশ্যে অমি রহমান পিয়াল তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে উনার ব্লগ থেকে যেকোন একটি ইসলাম বিরোধী লেখা দেখানোর চ্যালেঞ্জ দেন। সেইসাথে তিনি আরো বলেন, যদি উনার ইসলাম বিরোধী অবস্থানের কোন প্রমান দেখাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা রাজাকার গোলাম আযমের আপন সন্তান হিসাবে গন্য হবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৈনিক আমার দেশ বা তার সহযোগীরা এরকম কোন প্রমান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সাংবাদিকতার নূন্যতম এথিকস ব্যবহার করে আমার দেশের পক্ষ থেকে ঐসব ব্লগারদের সাথে যোগাযোগের কোন চেষ্টাই করা হয় নি। অথচ একট মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করে কয়েকজন ব্লগারকে কাফির নাস্তিক উপাধি দিয়ে দেয়া হলো।
এতো গেলো ঢাকার হিসাব। ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চকেও একই কায়দায় টার্গেট করা হয়েছে। ধর্মই হলো মূল বিষয়। সিলেটের কথা ধরলেই দেখা যাবে এখানকার মঞ্চের প্রধান সংগঠকদেরকে নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে পত্রিকায় চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে কাতল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফেইসবুকের বিভিন্ন পেইজে এদের ছবি দিয়ে নাস্তিক হিসাবে ক্যাপশন সেটে দিয়েছে।
একই ভাবে চারজন ব্লগারের ছবি ছাপিয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মিছিল করে সাম্প্রদায়িক শক্তি। মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের (?) মুহাদ্দিস জনাব শামসুল আলম। শাহবাগে বিচারের নামে ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে সমাবেশে আরও অনেক মাওলানা বক্তব্য রাখেন। অথচ শাহবাগে কোন বক্তা কোনদিন তার বক্তব্যে ইসলাম অবমাননা করেছেন তার কোন স্পেসিফিক প্রমান তারা দেখান নি। হ্যা, শাহবাগে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়, এটা সত্য। এখন প্রতিবাদ সভার ঐ মাওলানাদের কাছে যদি জামায়াতে ইসলাম আর কোটি মানুষের ধর্ম ইসলাম সমার্থক হয়, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।
কোন মুসলিম-কে নাস্তিক বলা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর স্পষ্ট নির্দেশ - 'যদি একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমকে কাফির বলে, অথচ যদি সে তা না হয়, তবে সেটা যে ডাকলো তার উপর চলে যাবে (সহীহ বুখারী)'। ''কেউ যদি একজন বিশ্বাসীকে অবিশ্বাসী (কুফর) হিসেবে উপস্থাপন করে, তাহলে সে একজন খুনীর সমান অপরাধ করলো'' (তীরমিযী)। তাহলে বিনা প্রমানে, কোন ধরনের নিয়মনীতির বালাই না রেখে যেসব মিডিয়া ও রাজনৈতিক দল মুসলমান ব্লগারদের ঢালাওভাবে নাস্তিক বলে আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করছে, পবিত্র হাদিস অনুসারে তাদের প্রকৃত চেহারা কী?
কথিত আছে, একবার যুদ্ধের ময়দানে একজন সাহাবীকে তার বিপক্ষ দলের একজন সালাম দেন। কিন্তু তারপরও ঐ সাহাবী সালামদানকারী ব্যাক্তিকে হত্যা করেন। রাসূল (সাঃ) যখন এই ঘটনা শোনেন, তখন তিনি ঐ সাহাবীকে ডেকে হত্যার কারন জিজ্ঞেস করেন। সাহাবী উত্তরে বলেন, তাঁর মনে হয়েছে নিহত ব্যাক্তি নিজেকে বাঁচানোর জন্য মুসলিম সাজার ভান করছিলো। রাসূল (সাঃ) রাগতঃস্বরে বলেন, তুমি কী তার হৃদয় ছিড়ে দেখেছো তার ভিতরে কী আছে? পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ নির্দেশ দেন - “তোমরা যারা বিশ্বাস কর, তারা যখন আল্লার পথে যুদ্ধে যাও, তখন সতর্ক থাকবে। এবং কেউ যদি তোমাকে সালাম দেয়, তাকে বলোনা 'তুমি বিশ্বাসী নও', শুধুমাত্র পার্থিব সম্পদের আশায়, আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য আছে অনেক পুরষ্কার। তোমরাও তো আগে এরকমই ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি সদয় হয়েছেন। তাই সতর্ক হয়ে যাও। নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের সবকিছুর ব্যাপারে অবগত'' (৪:৯৪)। যুদ্ধের মতো ভয়ংকর সময়েও যখন শুধুমাত্র একটি সালাম একজন ব্যাক্তিকে মুসলমান হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ঠ, তখন বর্তমান সময়ে, ইসলামের কোন নির্দেশে, বিনা সাক্ষ্য-প্রমানে আমরা একজন আরেকজনকে অবিশ্বাসী নাস্তিক আখ্যা দেই? উপরের আয়াত কিংবা হাদিসগুলো কী তাহলে তৌহীদি মাওলানারা জানেন না? কিভাবে সম্ভব? তারা তো একেকজন একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (?) শিক্ষক। নাকি তারা জানেন, অথচ মানেন না? ইসলামকে অন্তর দিয়ে উপলন্ধি করেন না? আল্লাহ আদেশ দেন, '' হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মান্য কর, এবং যখন রাসূলের কথা শুনছ, তখন বিমুখ হয়ো না। তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হইয়ো না যারা বলে 'আমরা শুনেছি', অথচ তারা শোনে না। সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহতালার কাছে তারাই সবচেয়ে নিম্নস্তরের, যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে মূক ও বধির, যারা উপলন্ধি করে না'' (সূরা আনফাল)।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেই ব্লগাররা নাস্তিক, তাহলে কী ৭১ এর ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী অযৌক্তিক হয়ে যায়? না কী বাংলাদেশে শুধুমাত্র আস্তিকরাই কথা বলার অধিকার রাখে? ৪/৫ জন ব্লগারের ধর্ম বিশ্বাসের দায় কী সারা বাংলাদেশের লক্ষাধিক ব্লগারের উপর চাপিয়ে দেয়া যায়? শাহবাগবিরোধী মাওলানাদের কথামতো যদি সব ব্লগারই নাস্তিক হয়ে যায়, তাহলে মাওলানা নিজামী কিংবা মাওলানা সাঈদীর মতো উনাদের সবাইকে রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করা যাবে? আমার পরিচিত এক হুজুর গতকাল ব্লগারদের নাস্তিকতা নিয়ে খুব লেকচার দিচ্ছিলেন। উনাকে এই প্রশ্নটা করা মাত্রই উনার মনে পড়ে যায় যে উনার আসরের নামাজের ওয়াক্ত চলে যাচ্ছে। আমার প্রশ্নের উত্তর পাই না। নিজেকে শান্তনা দেই যাক আমার জন্য হুজুরের নামাজটা মিস হয়নি।
শাহবাগ আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন আখ্যা দিয়ে যে ফায়দা লোটার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জামায়াত তার সবচেয়ে বড় ফল তারা তুলেছে ২২ ফেব্রুয়ারী। মহান ভাষা দিবসের ঠিক পরেরদিন দেশের আনাচে কানাচে তারা তান্ডব চালিয়েছে শহীদ মিনারে। খেয়াল করে দেখুন বিষয়টা, নাস্তিক ব্লগারদের কথা বলে তারা টার্গেট করেছে শহীদ মিনারকে। আমাদের ভাষা শহীদ, স্বাধীণতা যুদ্ধের তিরিশ লাখ শহীদের স্মৃতি ধারণ করা শহীদ মিনার, আমাদের স্বার্বভৗমত্বের প্রতিক শহীদ মিনারকে কারা টার্গেট করতে পারে। এর উত্তর পানির মতো সহজ। যারা একাত্তুরে এই এই দেশকে অস্বিকার করেছে, যারা অবলিলায় দেশের মানুষকে খুন করেছে, যারা এই চার দশক পরেও স্বিকার করে না বাংলাদেশকে, তারাই হামলা চালিয়েছে শহীদ মিনারে। এই হামলার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে, ধর্ম রক্ষা কিংবা নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন মূলত তাদের ক্যামেফ্লেজ। তারা আসলে এর আড়ালে আমাদের স্বাধীণতার চেতনাকেই হত্যা করতে চায়।

Comments

Popular posts from this blog

বিহঙ্গ হয়েছে অন্ধ, বন্ধ করেছে পাখা

ম্লান আলোয় দেখা টুকরো শৈশব ০২

বিকেলের রোদে দেখা মেয়ে