সিমন আমার ভাই
বাবাইর তখন তিন বছর। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি। ২ অথবা ৩ তারিখ হবে। শুদ্ধস্বর-এ বসে আমরা আড্ডা দিলাম। তারপর জ্যোতি, তারেক, আমি, তুলি, টুটুলভাইসহ কয়েকজন একসাথে বই মেলার পথ ধরলাম। আজীজ মার্কেট এর সোজা উল্টাদিকে রাস্তা পার হয়ে যাদুঘরের পাশের ফুটপাথে উঠতেই দেখি মন্থর গতিতে হাঁটছে, দেখে খুশি হবার বদলে আমার মুখটা শুকিয়ে গেলো। কারণ ঢাকায় যাবার কথা জানানো হয়নি। তার উপর সাথে বাবাইকে নিয়ে গেছি। আমাকে সে অবলীলায় পাশ কাটিয়ে গেলো। নিচের দিকে তার চোখ পড়ে না। পেছন থেকে ওর পিঠে খোঁচা মেরে থামালাম। ফুটপাথে অফিস ফেরত, মেলামূখী মানুষের ভিড়। সেসব কেয়ার না করেই জড়িয়ে ধরলো। ভাইজান বলে একটা চিৎকারও দিলো। একেবারে পিষে ফেলে পারলে। কোনমতো বল্লাম সাথে তোর ভাতিজা আছে দেখ। আমাকে ছেড়ে পাশে দাড়ানো বাবাইকে ছো মেরে কোলে তুলে নিলো। খবর দিলামনা বলে কোন অভিযোগ নেই,শুধু বল্ল, দেখলেন ভাইজান, আমারে খবর না দিলেও আমি ঠিক ঠিক খবর পেয়ে যাই। ফাঁকি দিতে পারবেন না। আমি লজ্জায় কিছু বল্লাম না... সিমন এমনই, সিমনের সাথে আমার এমনই সম্পর্ক। মেলার সেই বিকেলটায় আর একবারও বাবাইকে কোলে নিতে হয়নি আমার। চারুকলার সামনে এসে ...